নিজস্ব প্রতিবেদন- নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ড্রোন-এর সাহায্যে অস্ত্র ও টাকা ছড়াল পাকিস্তান। আর সেই টাকা ও অস্ত্র কুড়োতে এসে পুলিসের জালে ধরা পড়ল দুই জঙ্গি। কাশ্মীর পুলিসের ডিজিপি দিলবাগ সিং এদিন জানিয়েছেন, রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একটি এলাকায় ড্রোন-এর সাহায্যে অস্ত্র ও ভারতীয় টাকা ছড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এর পরই তিনজন ব্যক্তি ওই টাকা ও অস্ত্র কুড়িয়ে নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিসের একটি দল। তার পর নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি এলাকা থেকে টাকা ও অস্ত্রসমেত তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। পরে জেরার মুখে তারা নিজেদের লস্কর ই তৈবার জঙ্গি বলে পরিচয় দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তিই কাশ্মীরের বাসিন্দা। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃতীয়বার পাকিস্তানের ছক বানচাল করল পুলিস ও সেনা। কাশ্মীরে নাশকতা উদ্দেশেই সীমান্তের ওপাশ থেকে অস্ত্র ও টাকা সরবরাহ করা হত বলে জানা গিয়েছে। দিনকয়েক আগে কাশ্মীরের বালাকোট থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছিল সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। এর পর তিন দিনের মাথায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছিল সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে। সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের জন্যই মাদক চালান হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিস।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপের পর থেকে নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ। যদিও সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে বরফ পড়ার সময় সীমান্তে সেনার নজরদারি বাড়াতে হয়েছিল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত তিন হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।