নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখে শান্তির বার্তা দিয়েও ভারতকে আক্রমণের রাস্তা থেকে পিছু হঠতে নারাজ পাকিস্তান। বুধবারও সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সঙ্ঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবাণী সেক্টরে। শুরু থেকেই ভারতীয় সেনা যোগ্যজবাব দেওয়া শুরু করে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র কর্ণেল দেবেন্দর আনন্দ। রাজৌরির কালাল এলাকায় এক জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রায় রোজই সঙ্ঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি চালানো হয়। কিন্তু এর পরিমাণ বেড়েছে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। কারণ, তার আগের দিনই রাতের অন্ধকারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।


আরও পড়ুন: পাক জলসীমায় ভারতের সাবমেরিন! ভিডিয়ো ভুয়ো দাবি নয়া দিল্লির


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহানা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।


জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে। সেখানেই এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই জঙ্গিঘাঁটি। আর তার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে আক্রমণের বহর বাড়ে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সক্রিয় ১৬টি জঙ্গিঘাঁটি, ভারতের হাতে গোপন রিপোর্ট


এমনকী যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার পাল্টা জবাবে কোনওবারই পাকিস্তান সফল হয়নি। তবুও তারা ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।


এর মধ্যে পাকিস্তানের তরফে বারবার শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়ার সময়ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির বার্তার কথা বলেছিলেন।


আরও পড়ুন: বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে সুখোই যুদ্ধবিমানে যুক্ত হচ্ছে স্পাইস বোমা


কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের মুখে এক, কাজে আর এক।