ওয়েব ডেস্ক : ফের অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সীমান্তের তিন তিনটি জায়গায় হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্সরা। টার্গেট করা হয়েছে বর্ডার আউট পোস্টের  পাশাপাশি গ্রামগুলিকেই।  গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক BSF জওয়ানের।  BSF-এর পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক  পাক রেঞ্জারেরও। অন্যদিকে তাংধার সেক্টরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ছক ভেস্তে দেয় সেনারা। গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সেনা জওয়ানের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফের অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। বুধবার রাত থেকে একইসঙ্গে আর্নিয়া ও আর এস পুরা সেক্টরে হামলা পাক রেঞ্জার্সের। বৃহস্পতিবার সকালে হামলা হয় সুন্দরবানি সেক্টরেও। তাংধার সেক্টরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ছক ভেস্তে দেয় সেনাবাহিনী। গোলাগুলিতে যদিও এক সোনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও একজন।


আরও পড়ুন- জাল নোট নিয়ে RBI-এর নয়া নির্দেশিকা আপনার জন্য!


RS পুরা আর আর্নিয়ায় সাধারণ মানুষকেই টার্গেট করেছে পাক রেঞ্জার্স। পনেরোটি বর্ডার আউট পোস্ট আর কুড়িটি গ্রামে মর্টার শেল হামলা চালায় পাকিস্তান। গ্রামের বাড়িঘর, সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করে চলে নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি। রাতভর  হামলায়  আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। আহত হন BSF-এর অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনসপেক্টর এ কে উপাধ্যায়। পাক রেঞ্জার্সের গুলিতে প্রাণ হারান BSF-এর হেড কনস্টেবল জিতেন্দ্র কুমার।


রুখে দাঁড়ায় BSF। পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন জওয়ানরা। BSF-এর গুলিতে এক পাক রেঞ্জারের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজৌরির সুন্দরবানি সেক্টরে হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্স। গুলিবৃষ্টি শুরু করে তারা। তবে BSF-এর প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠে পাক রেঞ্জার্স। সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর থেকে এই নিয়ে ৫৫ বার অস্ত্রসংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। গত দুদিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত-পাক সীমান্ত। পঁচিশে অক্টোবরও পাক হামলায় আটজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। বৃহস্পতিবার পাক হাই কমিশনার আব্দুল বসিতকে ডেকে পাঠিয়ে বারবার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায় বিদেশমন্ত্রক। পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার উপত্যকার সব স্কুল ছিল বন্ধ।


চার মাস পর ক্রমে শান্ত হচ্ছে কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বনধের যদিও প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। এই নিয়ে একশো এগারো দিন বনধ চলছে উপত্যকায়।  কিন্তু এর মধ্যেই স্কুলে আগুন লাগানোর ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। বুধবার রাতে একটি প্রাথমিক স্কুলে আগুন লাগানো হয়। একটি অটো রিক্সা এবং একটি ট্রাকও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।  পুলিস যদিও এই খবর অস্বীকার করেছে।  এই নিয়ে উপত্যকার মোট  উনিশটি স্কুলে আগুন লাগানো হল। কোনও ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের খুঁজে পায়নি পুলিস।