ওয়েব ডেস্ক: কমপক্ষে আটটি মেয়েকে উদ্ধার করা হল রাজস্থানের শঙ্করপুরা এবং বুন্ডি এলাকা থেকে। এদের মধ্যে অনেকেই নাবালিকা এবং প্রত্যেককেই জোর করে যৌন ব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছে তাদের বাবা মায়েরা বলে জানালেন বুন্ডি জেলার অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সেলের সার্কেল ইনচার্জ কানিজ ফতিমা। আর এই উদ্ধার থেকেই বেরিয়ে এল রাজস্থানের কাঞ্জর জনজাতীর দীর্ঘ দিনের অমানবিক ও কুত্সিত এক প্রথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাঞ্জর জনজাতীর এই জঘণ্য প্রথার নাম 'চারি প্রথা'। এই প্রথা অনুসারে সাবালিকা হওয়ার আগেই কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেয়েদেরকে জোর করে যৌন ব্যবসায় নামিয়ে দেয় তাদের বাবা মায়েরাই। কখনও কখনও বন্দকও রাখা হয় মেয়েদের। আর যে এই প্রথার বিরুদ্ধে গলা তোলে তাদের উপর কয়েক লক্ষ টাকার 'জরিমানা' চাপায় এই জনজাতীর পাঁচ গ্রামের প্রবীন ব্যক্তিরা যাদের পোশাকি নাম 'পঞ্চ'


আরও পড়ুন- সোনাগাছির যৌন কর্মীরা দুর্গা পুজোর দিনগুলো কেমন করে কাটান


গত বুধবার, এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন জেলার লিগ্যাল লিটারেসি সেল ও অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সেল।


এই মেয়েদেরকে মূলত, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এমন কি কোনও কোন মেয়েকে একাধিকবার বিক্রি করা হয়ে থাকে। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই সুপ্রাচীন কুপ্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতার আলো ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন- সোনাগাছিতে 'উড়ছে' ৫০০, ১০০০