রাফালে থেকে রামমন্দির, বিরোধী-শরিকের সাঁড়াশি আক্রমণে সংসদে চাপে বিজেপি, মুলতবি অধিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশামতোই শুরুতেই উত্তপ্ত শীতকালীন অধিবেশন। বিরোধীদের হই-হট্টগোলে অধিবেশন বসলই না বুধবার। সকাল ১১টায় শুরুর কিছুক্ষণ পরই দুপুর দু'টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। কিন্তু দুপুর দু'টোর পরও লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন চালানো সম্ভব হয়নি। তাই দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। বিরোধীরা লোকসভায় বিক্ষোভও দেখায়।

আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ফের অধিবেশন বসবে। তবে ওইদিনই যে সুষ্ঠভাবে সদন চলবে, তার কোনও ইঙ্গিত এদিন মেলেনি। কারণ, এদিন বিরোধীদের তরফে একাধিক নোটিস জমা পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস আরবিআই ইস্যুতে আলোচনা চায়। তারা রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে। রাফালে ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা। আরজেডি আবার নোটিস দিয়েছে সিবিআইয়ের অপব্যবহার ইস্যুতে।

শুধু বিরোধীরা নয়, নোটিস জমা পড়েছে সরকারের শরিকের তরফে। ওই নোটিস জমা দিয়েছে শিবসেনা। তারা আবার রামমন্দির ইস্যুতে আলোচনা চায়। তাই মুলতবি প্রস্তাব এনেছে তারা।

ফলে শরিক ও বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা বিজেপির। এখন তারা এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যায়, সেই পথ খোঁজার কাজ শুরু করেছে। সূত্রের খবর, শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ইতিমধ্যেই সমাধানের রাস্তার খোঁজে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কারণ, লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। ১১ ডিসেম্বর অধিবেশন শুরু হয়েছে। চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে মাত্র ২০দিন অধিবেশন বসবে। ফলে সরকারের হাতে সময় কম। আর এই সামান্য সময়ের মধ্যেই ৪৩টি বিল পাস করাতে হবে মোদী সরকারকে। যার মধ্যে রয়েছে, তিন তালাকের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিল। যা লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় রাজ্যসভায় ওই বিল পাস করাতে পারছে না মোদী সরকার।

মঙ্গলবারই পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা তাদের কোণঠাসা করছে। কিন্তু ভোটে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি বিজেপিকে সেই পরিস্থিতিতে থেকে বেরতে হবে। পাস করাতে হবে বিলগুলি। কিন্তু কোন পথে সেই কাজ করে মোদী-অমিত শাহের দল, এখন সেটাই দেখার।