নিজস্ব প্রতিবেদন: কেঁচো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে আসছে  কেউটে।  জম্মু ও কাশ্মীরে ২ জঙ্গির সঙ্গে একই গাড়িতে গ্রেফতার ডিএসপি দেবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে ২০০১ সালে সংসদ হামলার কোনও সম্পর্ক কি ছিল? পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে সংসদ হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এসব প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'আমরা এলে লাঠি মারব, গুলি করব', রানাঘাটে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের


গ্রেফতার দেবিন্দার সিং একসময় ছিলেন কাশ্মীরের হুমহামায় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের নেতৃত্বে। ২০১৩ সালে তার আইনজীবীকে লেখা এক চিঠিতে দেবিন্দার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলে সংসদ হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরু। সেখানে বলা হয় দেবিন্দার সিং তাকে, ‘পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়। এই মহম্মদ হল সংসদ হামলায় অভিযুক্ত। মহম্মদের থাকার জন্য দিল্লিতে একটি ঘর ভাড়া করে দিতে বলা হয়।’  আফজল গুরুর অভিযোগ নিয়ে কখনওই তদন্ত হয়নি।


বর্তমানে শ্রীনগর বিমান বন্দরে অ্যান্টি হাই জ্যাকিং ইউনিটে কর্মরত ছিলেন দেবিন্দার। সম্প্রতি ১৬ সদস্যের বিদেশি রাষ্ট্রদূতের যে প্রতিনিধি দল কাশ্মীরে এসেছিল তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দেবিন্দার। গত বছর রাষ্ট্রপতি মেডেল পান তিনি।  গত শুক্রবার  নাভেদ বাবা ও আলতাফ নামে ২ জঙ্গিকে নিয়ে একটি গাড়িতে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যান দেবিন্দার। ওই দুই জঙ্গিও পাগড়ি পরেছিল। পাশাপাশি সম্প্রতি নাবেদের সঙ্গে তার একটি কথপোকথনের টেপ পুলিসের হাতে এসে গিয়েছে। তাতে আরও বিপাকে দেবিন্দার।


আরও পড়ুন- দিলীপে সমর্থন নেই একাংশের! বঙ্গ সভাপতির মুখ বাছতে বৈঠক করে গেলেন অমিতের ‘দূত’


দেবিন্দারের  গ্রেফতার সম্পর্কে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার  বলেন, সেপিয়ার এসপি-র কাছে দুই জঙ্গির হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াতের খবর ছিল। একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় সেটিকে আটকানো হয়। সেই গাড়িতে ছিলেন ডিএসপি দেবিন্দার সিং, এক আইনজীবী ও ২ জঙ্গি।  ওই দুই জঙ্গিকে কাশ্মীর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দেবিন্দার। গ্রেফতার হওয়া নভেদ একসময় জম্মু ও কাশ্মীরে উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিক ছিলেন।  ২০১৭ সালে তিনি যোগ দেন হিজবুল মুজাহিদিনে। সবে মিলিয়ে প্রবল চাপে দেবিন্দর।