নিজস্ব প্রতিবেদন: ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত স্পষ্ট করেছে, ফৌজদারি অপরাধে চার্জ গঠনের পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন যে কোনও নাগরিক। ৫ বছরের বেশি সাজা হতে পারে এমন গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে চার্জ গঠনের পর অভিযুক্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার কেড়ে নিক সুপ্রিম কোর্ট, এই দাবি জানিয়ে আদালতে জমা পড়েছে আবেদন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দাগি নেতাদের ভোট ময়দানে নামা রুখতে দায়ের মামলার রায়ে এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, চার্জশিটের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায় না। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত রানৈতিক নেতাদের তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। এতে কার বিরুদ্ধে কত অভিযোগ রয়েছে তা সাধারণ মানুষ জানতে পারবে। 


রাজনীতির অপরাধীকরণে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট এই প্রবণতা রুখতে সংসদকে আইন বানানোর দায়িত্ব দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, রাজনীতিতে স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাজনৈতিক নেতাদের ফৌজদারি অপরাধ থেকে দূরে থাকা উচিত। 


এই মামলায় গত শুনানিতে আদালত জানিয়েছিল, আমরা ১৯৯৭ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বদলের সুপারিস করেছিলাম। ১৯৯৯ সালে একই পরামর্শ দিয়েছিল ল' কমিশন। কিন্তু সরকার তা করতে রাজি নয়। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল, অভিযু্ক্ত রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার কি নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে  সরকারের তরফে জানানো হয় এব্যাপারে একমাত্র আইনসভাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 


রাখঢাক নয়, এবার কপালে চন্দন লেপে হিন্দুত্বের পথে রাহুল, উঠল 'ব্যোম ব্যোম' ধ্বনি


এমনকী অপরাধীদের প্রার্থী করা হলে তাকে নির্বাচনী প্রতীক দেওয়া যাবে না, এমন প্রস্তাবও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জবাবে সরকারের তরফে জানানো হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবে। এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনসভার অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। তাই এব্যাপারে যা করার আইনসভাকেই করতে হবে।