নিজস্ব প্রতিবেদন- পশ্চিম বিহারের ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনার ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। এইমসে ভর্তি সেই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেই কিশোরীকে নিউরোসার্জারি বিভাগের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির প্লেটলেট কাউন্ট আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে। প্লেটলেট কাউন্ট বাড়ানোর জন্য তার নিউরোসার্জারি হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস। দিল্লির একটি আদালত নির্যাতিতার পরিবারকে অবিলম্বে দুলাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি (DSLSA) ক্ষতিপূরণের দাবি করে আদালের দ্বারস্থ হয়েছিল। দিল্লি মহিলা কমিশনের এক উকিল এই মামলা লড়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এইমস-এ গিয়ে সেই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছিলেন কেজরিবাল। তিনি বলেছিলেন, কোনোভাবেই এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রেয়াত করা হবে না। 


আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীর কাছে দক্ষিণা চাইলেন রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর প্রধান পুরোহিত


কেজরিবাল এদিন টুইট করে লিখেছেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অবস্থা ভাল নয়। আমি হাসপাতালে ওকে দেখে এসেছিলাম। ওর বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি ফোনে কথা বলেছি। চিকিতসকরা ওকে সুস্থ করে তোলার সবরকম চেষ্টা করছেন। আপনার মেয়েটির জন্য প্রার্থনা করবেন। পশ্চিম বিহারের পীরাগরি এলাকা থেকে পুলিস কৃষ্ণা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। ৩৩ বছর বয়সী সেই ব্যক্তি মেয়েটিকে ধর্ষণের পর খুন করার চেষ্টা করেছিল। কাঁচি দিয়ে মেয়েটির শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেছিল সেই ব্যক্তি। তার পর মেয়েটি মারা গিয়েছে ভেবে সে চলে যায়। মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে এসে এক প্রতিবেশির কাছে সাহায্যের আকুতি করে।