নিজস্ব প্রতিবেদন : একজনকে ফাঁসিতে ঝোলালে তিনি পারিশ্রমিক পান ২৫ হাজার টাকা। এবার তিনি একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলাবেন। ফলে মিলবে লাখ টাকা। কী করবেন সেই টাকা দিয়ে? পবন জল্লাদ বলছেন, তাঁর হাত এখন খালি। এদিকে সামনেই মেয়ের বিয়ে। তাই নির্ভয়ার চার দোষীকে ফাঁসি দিয়ে তিনি যে টাকা পাবেন তা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবেন। ২২ জানুয়ারি নির্ভয়ার চার দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা। তবে ফের আইনি জটিলতা তৈরি হলে ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে যেতে পারে। তবে ফাঁসির ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরই মধ্যে পবন জল্লাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে। নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য ৫৭ বছর বয়সী পবন জল্লাদকে বেছে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির দড়ি থেকে শুরু করে মঞ্চ, সবই ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখে  নিয়েছেন ফাঁসুড়ে পবন। তিনি অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, চার দোষীকে ফাঁসি দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি খুশি। এই চারজনকে গোটা দেশ ফাঁসির দড়ি গলায় দেখতে চায়। আর তাঁর হাতেই চার দোষীর শাস্তি হবে। তাই পবন এখন বেশ উত্তেজিত। তার উপর চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলালে হাতে আসবে লাখখানেক টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর এখন পোয়া বারো। 


আরও পড়ুন-  মাখনে ডোবানো হচ্ছে ফাঁসির দড়ি, আধ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হবে নির্ভয়ার দোষীদের


পবন জল্লাদ বলছেন, ''আমি এখন জেল কর্তৃপক্ষের থেকে পাঁচ হাজার টাকা মাসোহারা পাই। আমার সাত ছেলেমেয়ে। পাঁচ মেয়ে, তিন ছেলে। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এক মেয়ের বিয়ে সামনে। হাতে টাকা নেই। ওই চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলালে লাখখানেক টাকা পাব। তা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে পারব। তা ছাড়া ওই চারজনকে শাস্তি দিতে পারাটা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের।'' প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা নির্ভয়ার চার দোষীকে। তিহাড় জেল প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। ফাঁসির মঞ্চ তৈরি। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা।