নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরে কি রাজ্যপাল শাসনের অবসান হতে চলেছে? পিডিপির বিদ্রোহী বিধায়ক আবদুল মজিদ পাড্ডের দাবি, ৫১জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁদের। রাজ্যে পরবর্তী সরকার তাঁরাই গঠন করতে চলেছেন। যদিও কংগ্রেস না বিজেপি কার সঙ্গে রফা হল, তা ভাঙতে চাননি আবদুল মজিদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার নুরবাদের পিডিপি বিধায়ক আবদুল মজিদের কথায়, ''সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। আমাদের সঙ্গে ৫১ জন বিধায়ক রয়েছেন। নিশ্চিত থাকুন, সরকার আমরাই গঠন করব। খুব শীঘ্রই সব জানতে পারবেন।'' মেহবুবা মুফতির উপরে পিডিপি বিধায়কদের ভরসা নেই, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।


৮৭ সদস্যের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক পিডিপি-র। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ২৮। কংগ্রেসের এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক সংখ্যা যথাক্রমে ১২ ও ১৫। সিপিএম ও পিডিএফের একজন করে বিধায়ক রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে অঙ্কের বিচারে কীভাবে ৫১ বিধায়কের সমর্থন থাকা সম্ভব? কোন দলের সঙ্গে জোট করছেন পিডিপি-র বিদ্রোহী বিধায়করা? এই প্রশ্নে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি আবদুল মজিদ। তাঁর কথায়, ''আমরা স্বচ্ছ প্রশাসন দিতে চাইছি সাধারণ মানুষকে। সমমনোভাবাপন্ন বিধায়কদের আমরা পাশে চাইছি। এটা শুধু পিডিপি নয়, কংগ্রেস ও বিজেপির লোকেদেরও স্বাগত জানাচ্ছি। আরও তিনবছরের সরকার দিতে চাইছি রাজ্যবাসী।''


তাহলে কি তৃতীয় শক্তি হিসেবে অবতীর্ণ হতে চলেছেন তাঁরা? মজিদের ব্যাখ্যা,''না তৃতীয় শক্তি নই। প্রথম শক্তি হিসেবেই সরকার গঠনের দাবি জানাব।'' 


দিন কয়েক আগে শোনা গিয়েছিল, পিডিপি-র বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। ফলে আবদুল মজিদের সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় আড়াল থেকে কি বিজেপির যোগ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর আগামিদিনেই স্পষ্ট হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।


আরও পড়ুন- মন্দিরে ১৩.৫ কোটি টাকা দান করলেন দুই মার্কিন নিবাসী শিল্পপতি