পেহলু খান হত্যা মামলায় সাক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি
মামলার সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময় নম্বর প্লেট-বিহীন গাড়ি থেকে চলল গুলি। আতঙ্কিত পেহলু খানের দুই ছেলে-সহ বাকি সাক্ষীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোপাচারের অভিযোগে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছিল পেহলু খানের। ওই ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময়ে পেহলুর ছেলে-সহ সাক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনার পর আলোয়ারের পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে দাবি পেহলুর আইনজীবী। পুলিসের আবার বক্তব্য, এব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি।
মামলার আইনজীবী আসাদ হায়াত বলেন, ''সাক্ষী আজমত, রফিক ও পেহলুর ছেলে ইরশাদ ও আরিফের সঙ্গে আমিও গাড়িতে ছিলাম। বেহরোরে মামলায় সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছিলাম আমরা। নীমরানার কাছে নম্বর প্লেট-বিহীন একটি গাড়ি আমাদের আটকানোর চেষ্টা করে''।
পেহলুর এক ছেলে ইরশাদ বলেন,''গাড়িটি আমাদের সামনে চলে আসে। হাত দেখিয়ে আমাদের থামতে বলা হয়। তবে গাড়িটির নম্বর প্লেট না থাকায় থামাইনি। গাড়িটি কাছাকাছি আসার পর ভিতরের এক ব্যক্তি গালিগালাজ করতে থাকে। এরপরই আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়''।
দুষ্কৃতীদের হাত থেকে ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য হন বলে দাবি করেছেন হায়াত। তাঁর কথায়, ''গাড়িটি থেকে আমাদের দিকে গুলি ছোড়ার পর গ্রামের রাস্তা ধরি। সেখান থেকে আলওয়ারের পুলিস সুপারের কাছে গোটা ঘটনার কথা জানাই''।
হরিয়ানার নুয়ের বাসিন্দা এক সাক্ষী জানালেন, ''বেহরোর পুলিসের উপরে আর ভরসা নেই তাঁদের। এফআইআরে নাম থাকা ৬জনকে ক্লিনচিট দিয়েছে তারা। তাই সরাসরি পুলিস সুপারের কাছে দরকার করেছি''। বেহরোর থেকে আলওয়ারের মামলা স্থানান্তরের দাবি করেছেন তিনি।
আলওয়ারের পুলিস সুপার রাজেন্দ্র সিং বলেন,''আমাদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেননি। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব''।
উল্লেখ্য, গতবছর ১ এপ্রিল ট্রাকে গরু নিয়ে হরিয়ানায় যাচ্ছিলেন পেহলু খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ছেলে ইরশাদ ও আরিফ এবং দুই সঙ্গী আজমত ও রফিক। আলোয়ারের তাঁদের উপরে হামলা করে গোরক্ষকরা। দুদিন পর হাসপাতালে মৃত্যু পেহলু খানের।
আরও পড়ুন- এটা এনকাউন্টার নয়, অ্যাপলের সেলস ম্যানেজার খুনে সাফাই যোগীর