নিজস্ব প্রতিবেদন: গণপিটুনির বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল নীতীশ কুমার সরকার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকবে তারা কোনও সরকারি চাকরি পাবে না। অন্যদিকে, কোনও সরকারি কর্মচারি ওই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হাত কীভাবে ভেঙে দিতে হয় জানি, আজ নয় কাল হবেই, বাবুলকাণ্ডে হুঁশিয়ারি দিলীপের


সরকারি হিসেব মতো এখনও পর্যন্ত ৩৯টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে বিহারে। পাটনা, সাসারাম, জেহনাবাদ-সহ অন্যান্য জেলায় ঘটা ওইসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ রয়েছে মোট ৩৪৫ জনের নামে। ফলে ওইসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার।



শুক্রবারও সীতামারি জেলায় রাজ্যের চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের ৩ অফিসার-সহ ৪ জনকে বেধড়ক মারধর করেছে জনতা। সন্দেহ ওইসব অফিসার ছেলেধরা। তাদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিসের ওপরেও চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। সম্প্রতি ৭-১৩ বছরের ৩ শিশুকে উদ্ধার করেছে এই চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিট।


আরও পড়ুন- রাজীবের খোঁজে স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সিবিআই


দ্বারাভাঙার চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের সহকারী ডিরেক্টর রবিশঙ্কর তিওয়ারি জানিয়েছেন,‘চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের সদস্যারা সীতামারির কয়েকটি গ্রামে বেশ কয়েকজন শিশুকে তাদের গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল তাদের গ্রাম চেনাবার জন্য। চারজন লোকের সঙ্গে ওইসব শিশুদের দেখে তাদের ছেলেধরা বলে ভুল করে জনতা। এরপরেই শুরু হয়ে প্রবল মারধর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাঘব ঠাকুর, বালমুকুন্দ কুমার, নীলেশ কুমার ও গাড়ির চালক দয়া ঝা-কে।’