অবসরপ্রাপ্ত এই পোস্টম্যান-কে পদ্মশ্রী, ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি দেশজুড়ে, কী এমন করেছেন ইনি!
তাঁর ৩০ বছরের সংগ্রামের কাহিনী এখন সবাই জেনে অবাক হচ্ছেন। কী করে একজন মানুষ এতটা কর্তব্যপরায়ণ হতে পারেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন- একটা-দুটো দিন নয়। ৩০ বছর। একটানা ৩০ বছর তিনি লোকের হাতে চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন। এতটুকু শুনে হয়তো ভাবছেন, এমন কী কাজ করেছেন! নিজের কর্তব্য পালন করেছেন। তাতে এত ফলাও করার কী আছে! ৬৫ বছর বয়সী ডি সিবনের নাম এতদিন পর্যন্ত কেউ জানতেন না। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর অনুশাসনের দাম ঠিকই পাওয়া যায়! ডি সিবন নামের সেই পোস্টম্যান পরিশ্রমের মূল্য পেলেন হয়তো অবসরের পর। তাঁর ৩০ বছরের সংগ্রামের কাহিনি এখন সবাই জেনে অবাক হচ্ছেন। কী করে একজন মানুষ এতটা কর্তব্যপরায়ণ হতে পারেন! ডি সিবনের নিষ্ঠা ও পরিশ্রম নজির গড়ল।
৩০ বছর ধরে রোজ ১৫ কিমি রাস্তা পেরিয়ে মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আর সেই ১৫ কিমি রাস্তা সমতল ছিল না। একে তো পাহাড়ি রাস্তা। তার উপর মাঝে জঙ্গল। এমনও অনেকদিন হয়েছে যে সেই জঙ্গল পার করার সময় তিনি হিংস্র পশুর সামনে পড়েছেন। কিন্তু দিনের শেষে সবরকম বাধা পেরিয়ে তিনি লোকের হাতে চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন ঠিক। কর্তব্যে কোনোদিন গাফিলতি হয়নি। মাসিক মাত্র ১২ হাজার টাকা মাইনে। তাও অবসরের কয়েক বছর আগে থেকে সেটা পান। তার আগে মাইনে বলার মতো ছিল না। এত কম টাকাতেই তিনি হাসিমুখে কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন। অভিযোগ, অভিমান প্রকাশ করেননি কখনও।
আরও পড়ুন- অপ্রয়োজনে বেরলেই তুলে নিয়ে যাবে! করোনা রুখতে কমান্ডো দাগল কেরল
সুপ্রিয়া সাহু নামের এক আইএএস অফিসার ডি সিবনের লড়াইয়ের কথা টুইটার-এর মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ''রোজ ১৫ কিমি দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিতেন তিনি। ৩০ বছর ধরে। পিচ্ছিল রাস্তা, জঙ্গল পার করে মানুষের হাতে চিঠি পৌঁছে দিতেন তিনি। কতদিন জঙ্গল পার করতে গিয়ে হাতি, ভাল্লুকের মতো হিংস্র জীবজন্তুর পাল্লায় পড়েছেন! কুন্নুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন তিনি বছরের পর বছর ধরে। গত সপ্তাহে তিনি অবসর নিলেন।" তাঁর এই টুইট দেখার পর থেকেই অনেকে এই পোস্টম্যানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করার দাবি তুলেছেন। কেউ কেউ আবার তাঁকে ভারতরত্ন পুরষ্কারে ভূষিত করারও দাবি তুলেছেন।