নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও দাগী অপরাধী নয়। নিরাপরাধ সাধারণ লোকজনও ‘দায়ে পড়ে’ পুলিস লকআপে রাত কাটাচ্ছেন একেবারে তাদের নিজেদের ইচ্ছেতেই। কেন তারা এরকম করছেন শুনলে অবাক হয়ে ‌যাবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে লকআপে রাত কাটানোর আর্জি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে বহু আবেদনপত্র পড়ে প্রতি বছর। তাঁদের অনুরোধ, জেলে অন্তত একটা রাত কাটাতে দেওয়া হোক। কারণ জ্যোতিষী তাঁদের বলেছেন তাদের কপালে রয়েছে জেল ‌যোগ। সেই ফাঁড়া কাটাতেই একরাত অন্তত জেলে কাটাতে হবে।


আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় মা-মেয়ের সুপার ইম্পোজ করা ছবি ছড়ানোর অভি‌যোগে গ্রেফতার ‌যুবক


আজব ওই আবেদনে প্রবল বিপাকে ‌যোগী প্রশাসন। অনেক ভেবেচিন্তে তারা একটা রাস্তা বের করেছে। আদালতের আদেশ ছাড়া কাউকে জেলে ঢোকানো ‌যায় না। তাহলে রাস্তা একমাত্র পুলিস লকআপ। সেখানেই রাখা হচ্ছে ওইসব আবেদনকারীদের।


‘জন্ম কুন্ডলীতে’ ‘জেল ‌যোগ’ ছিল পেশায় ব্যবসায়ী রমেশ সিংয়ের। প্রশাসনের দরজায় হত্যে দিয়ে তিনি ২৪ ঘণ্টা কাটিয়েছেন লকআপে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনু‌যায়ী গত এপ্রিল মাসে রমেশ জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁকে জেলে পাঠানোর অনুরোধ করেন। সঙ্গে জমা দেন তাঁর একটি ঠিকুজি-কুষ্ঠী। রমেশের পারিবারিক জ্যোতিষী তাঁকে বলেছিলেন ভবিষ্যতে তাঁর জেল ‌যোগ রয়েছে। একরাত জেলে কাটালেই তা কেটে ‌যাবে। প্রশাসন রমেশের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। মে মাসে তিনি একরাত কাটান পুলিস লকআপে।


এনিয়ে প্রশাসনের কী বক্তব্য? লখনউয়ের জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ২৪-৪৮ ঘণ্টা জেলে রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে বহু আবেদন জমা পড়ে। একমাত্র আদালতই কাউকে জেলে রাখার নির্দেশ দিতে পারে। তবে ওই অনুরোধের কথা মাথায় রেখে তাদের পুলিস লকআপে রাখা হয়।


আরও পড়ুন-শৃঙ্খলাকে আজকাল স্বৈরাচার বলা হচ্ছে, মোদীর নিশানায় বিরোধীরা


বিষয়টি নিয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির জ্যোতিষ বিভাগের প্রধান চন্দ্রমৌলী উপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, বিষয়টি নতুন কিছু নয়ষ বহুদিন ধরে এসব চলে আসছে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে এসব দেখছি। প্রতি বছর এরকম ১-২ ঘটনা নজরে আসে।