মোদীর `মন কি বাত` না শোনার জের, ৩৬ নার্সিং পড়ুয়াকে হস্টেলে `বন্দি` করল PGIMER কর্তৃপক্ষ
প্রধানমন্ত্রীর রেডিও ভাষণ শোনেননি তৃতীয় বর্ষের ২৮ জন নার্সিং ছাত্রী ও প্রথম বর্ষের ৮ জন নার্সিং ছাত্রী। তাঁরা অধিবেশনে না আসার কোনও কারণও জানাননি বলে খবর। `মন কি বাত` অনুষ্ঠানের ১০০ তম এপিসোডের একটি সেশনে অংশ না নেওয়ায় ৩৬ জন নার্সিং ছাত্রীকে এক সপ্তাহের জন্য হস্টেল থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (PGIMER), চণ্ডীগড়, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) 'মন কি বাত' (Mann ki Baat) অনুষ্ঠানের ১০০ তম এপিসোডের একটি সেশনে অংশ না নেওয়ায় ৩৬ জন নার্সিং ছাত্রীকে এক সপ্তাহের জন্য হস্টেল থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।পিজিআইএমইআর কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত নির্দেশ জারি করে বলেছিল যে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং এডুকেশনের (এনআইএনই) সমস্ত নার্সিং পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। ৩০ এপ্রিল 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন, CBSE Result 2023: প্রকাশিত CBSE দ্বাদশের ফল, কীভাবে দেখা যাবে রেজাল্ট?
তবে প্রধানমন্ত্রীর রেডিও ভাষণ শোনেননি তৃতীয় বর্ষের ২৮ জন নার্সিং ছাত্রী ও প্রথম বর্ষের ৮ জন নার্সিং ছাত্রী। তাঁরা অধিবেশনে না আসার কোনও কারণও জানাননি বলে খবর। তারপরই পিজিআইএমইআর কর্তৃপক্ষ তাঁদের এক সপ্তাহের জন্য হস্টেল না ছাড়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশটি কেবলমাত্র তাদের নিয়মিত পাঠ্যসূচির কার্যক্রমের অংশ হিসাবে উপস্থিত থাকার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল। সেরা বক্তাদের দ্বারা নিয়মিত অতিথিদের বক্তৃতা ও আলোচনার আয়োজন করা হয়। কারণ বিশেষজ্ঞ,পেশাজীবীরা তাদের শিক্ষাকে মূল্যবান মনে করেন।
ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বরং আগের পর্বে এক অঙ্গদানকারী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পিজিআইএমইআর থেকে ট্রান্সপ্লান্টেশনের ঘটনা, অঙ্গদানের মহৎ উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, যা অত্যন্ত মনোবল বৃদ্ধি করেছিল এবং আরও আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছিল।
এতে বলা হয়, ওই ৩৬ জন নার্সিং ছাত্রী অনুষ্ঠানে না থাকার কোনও কারণ না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পিজিআইএমইআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, "যেহেতু কিছু পড়ুয়া অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার কোনও কারণ জানাননি এবং তাঁদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বিরত ছিলেন তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ইনস্টিটিউটের বক্তব্য, বৃহত্তর জনস্বার্থের খাতিরে বিষয়টিকে অন্য কোনও অর্থ দেওয়া বা উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়।