নিজস্ব প্রতিবেদন: পাপ্পু শুনলে রেগে যান? এমন প্রশ্নে বিরক্তি তো দূর এক গাল হেসেই দিলেন রাহুল গান্ধী। এর পর বলেন, “আমি তো ভীষণ মজাই পাই। অনেক কিছু শেখা যায়।” এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে রাহুল জানান, তাঁর পরিবার এবং তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। পাপ্পু বলে তামাসা করা হয়। তাতে তিনি রেগে যান না বলে জানান রাহুল। উলটে কিছু শেখার চেষ্টা করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ সব কিছুর মধ্যে সমালোচকদের অবদান রয়েছে বলে মনে করেন রাহুল। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীরও অবদান রয়েছে। কেমন? রিপোর্টার প্রশ্ন করলে রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদী কী ভাবে দেশ না চালানোর কৌশল দেখিয়েছেন সেটাই তাঁর অবদান। তবে, রাহুল এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন, তিনি সুবক্তা। মোদী ভাল কথা বলতে পারেন।


যদিও রাহুলের অভিযোগ, বক্তৃতা দেওয়াই প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কাজ বলে মনে করেন মোদী। তাঁর কাজের মধ্যে কোনও পরিকল্পনা নেই। রাহুল দাবি করেন, জম্মু-কাশ্মীরে টানা ন’বছর মনমোহন সিং সরকার নানা কাজ করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন, পঞ্চায়েত রাজ এনেছে কংগ্রেস। দেশের অর্থনীতি পরিকল্পনার মাধ্যমে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে মনমোহন সরকার।


আরও পড়ুন- বদলাতে পারে সরকারি নিয়ম, প্রাইভেট গাড়িতে তুলতে পারবেন যাত্রী!


প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলে রাহুলের অবস্থান কী, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সভাপতি সাফ জানান, ২৩ মে মানুষই শেষ কথা বলবে। মানুষ যা চাইবেন সেটা করতে রাজি বলে জানিয়ে দেন এ দিন। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীকে একের পর এক তোপ দাগছেন মহাজোটের সঙ্গী মায়াবতী।  সে প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, তাঁর সঙ্গে মতাদর্শে পার্থক্য থাকতে পারে, ব্যক্তি মায়াবতীর গুরুত্ব রয়েছে এ দেশে।  


এ দিন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তিনি নাকি স্নাতকোত্তর না হয়েই এমফিল করেছেন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পালটা এমনই কটাক্ষ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আজ সাক্ষাত্কারে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করেন, তিনি ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ নিয়ে এমফিল করেছেন।


উল্লেখ্য, হিন্দু রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তিনি ট্রিনিটি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে এমফিল-এ অর্জন করেন। আজ রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, দেশে স্বৈরাতন্ত্র চলছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে আমরা রক্ষা করবো। তাঁর কথায়, গান্ধীজি বলতেন লাইনে দাঁড়ানো শেষ মানুষটিকে সাহায্য করা উচিত। আরএসএস-এর কর্মীরা যদি আক্রান্ত হন, তাঁদেরও রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল গান্ধী। তবে, কংগ্রেস সভাপতির মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগত ভাবে ঘৃণা করেন আমায়। মোদীর দিন শেষ বলে দাবি রাহুলের। এমনকি তিনি আশ্বাস দেন, প্রত্যেক নাগরিকের মনের কথা বুঝতে সচেষ্ট হবে তাঁর সরকার।


সম্প্রতি ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসা নিয়ে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যে জোর বিতর্ক তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, রাহুল গান্ধী সাফ জানান, পিত্রোদা ভুল মন্তব্য করেছেন। তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছি। রাহুল বলেন, শিখ বিরোধী হিংসা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত।