নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারিদের মন জয় করতে চেষ্টার অন্ত রাখলেন না নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হাত ধরে বিহারের উন্নতির ধারা অব্যাহত বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি, মোদী বলেন, এনডিএ সরকারের পূর্ণ সাহায্যেও প্রান্তিক মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। তরুণ সমাজের মনে পেতে তাঁর দাবি, দিনরাত পরিশ্রম করছেন নরেন্দ্র মোদী। কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব কমাতে তাঁর সরকার নানা পদক্ষেপ করছে। প্রয়োজনে বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সৌদি আরবে কাজ করতে যান বহু মুসলিম শ্রমিক। কিন্তু, সামান্য ভুলের জন্য ওখানকার আইনের জাঁতাকলে জেলের রয়েছেন বেশ কিছু শ্রমিক। সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে কথা বলে রাতারাতি সাড়ে ৮ শো বন্দিদের মুক্ত করেছেন বলে দাবি মোদীর। উল্লেখ্য, বিহারের অধিকাংশ তরুণ দেশের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও বিদেশেও কাজ করতে যান। বিশেষ করে সৌদি আরবে। এ দিন রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁর সাফল্যের কথা তুলে ধরে বিহারের শ্রমিকদের নজর কাড়ার চেষ্টা করেন মোদী।


আরও পড়ুন- ‘বিমানহানা নিয়ে বিরোধীরা যা বলছে তাতে তালি বাজছে পাকিস্তানে’


এ দিন আরও একটি কূটনৈতিক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। সৌদি যুবরাজের কাছে হজ় যাত্রীসংখ্যার কোটা বাড়ানোর আর্জি করেন বলে জানান মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধ ফেলে দিতে পারেননি সৌদির যুবরাজ সলমন। মোদীর দাবি, এ বার হজযাত্রায় যাবেন ২ লক্ষ ভারতীয়। যা গত ৫০ বছরে এমন নজরি তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হজযাত্রার প্রসঙ্গ তুলে বিহারের প্রায় ১৭ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মনও জয় করার চেষ্টা করেছেন এ দিন।


আরও পড়ুন- ওরা আমাকে খতম করতে চায়, আমি শেষ করতে চাই সন্ত্রাসবাদকে, বিহারে বিরোধীদের একহাত নিলেন মোদী


এ দিন এই প্রথম এক দশক পর এক মঞ্চে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশের হাতে কীভাবে ‘নতুন বিহার’ তৈরি হচ্ছে তার প্রশংসা শোনা গেল মোদীর গলায়। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারই একমাত্র বোঝেন কংগ্রেস সরকারের বঞ্চনা। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নীতীশের কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেন মোদী। পাশাপাশি, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের নাম না করে পশুকেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করেন তিনি।