নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। আর রাহুল গান্ধী সুযোগ পেলেই মাসে অন্তত দু-তিন দিন যান ছুটি কাটাতে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের দুই ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’র পার্থক্য এ ভাবেই তুলে ধরলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সাক্ষাত্কারেও নরেন্দ্র মোদী জানান, মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমান তিনি। ছোটো থেকেই এভাবেই জীবনযাপন তৈরি করেছেন বলে দাবি তাঁর। বিরোধীরা কটাক্ষ যতই করুক, প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর জীবনযাপনকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে চাইছে বিজেপি। তাই, সে দিনের অরাজনৈতিক সাক্ষাত্কারে অন্তত ভোটের মরসুমে ব্যক্তি মোদীকে তুলে ধরাই লক্ষ্য ছিল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ঝড়খণ্ডের পালামুর জনসভা থেকে শনিবার অমিত শাহ বলেন, “গুজরাটে প্রায় কুড়ি বছর ধরে মোদী সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁকে দেখেছি একটি দিনের জন্য কাজ থেকে ছুটি নেন না। অন্য দিকে রাহুল বাবা দলের নেতা, কর্মীদের ছেড়ে মাসে দু-তিন বিদেশ ভ্রমণ করেন। এমনকি তাঁর মায়ের কথা না ভেবে ছুটি কাটাতে যান।” এ দিন মনমোহন সিংয়ের সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেন তিনি। অমিতের কথায়, “এখন এ ভেবে কষ্ট পাই, হেমরাজের (জওয়ান) শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে পাক সেনা। তাঁকে লাথি মারা হয়। সব দেখেও মৌন ছিলেন মনমোহন সিং। ইউপিএ সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি।” উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ভারতীয় জওয়ান ল্যান্স নায়েক হেমরাজকে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) হত্যা করে ক্ষত-বিক্ষত করে তাঁর শরীর।


আরও পড়ুন- ‘প্রজ্ঞা মাসুদ আজহারকে অভিশাপ দিলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আর প্রয়োজন হতো না’


কাশ্মীর প্রসঙ্গে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় বিজেপি সভাপতিকে।  তাঁর কথায়, উপত্যাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে কংগ্রেস উদাসীন বলে অভিযোগ অমিত শাহের।