নিজস্ব প্রতিবেদন: একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে রবিবার বিহারের বারউনিতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনও পুলওয়ামার ঘটনার রোমান্থন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান পাটনার সঞ্জীব কুমার সিনহা এবং ভাগলপুরের রতন কুমার ঠাকুরের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। জঙ্গি হামালার ঘটনাকে চাঁচাছোলা ভাষায় নিন্দা করে মোদী বলেন, দেশবাসীর মনে কতটা আগুন জ্বলছে আমি অনুভব করছি। জেনে রাখুন, যে আগুন আপনার বুকে জ্বলছে, আমার বুকেও সেই আগুন জ্বলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লড়বেন না, সমর্থনও করবেন না, লোকসভা নির্বাচনে অবস্থান স্পষ্ট করলেন রজনীকান্ত


বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপস্থিতিতে বারাউনিতে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার পাটনা মেট্রো রেল প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অমৃত যোজনার ২২টি প্রকল্পেরও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। জগদীশপুর-বারাণসী প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের ফুলপুর-পাটনার সেকশন এ দিন উদ্বোধন করেন মোদী।  তবে, এ সব কিছুর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ঘটনাই বারংবার উঠে এসেছে।


আরও পড়ুন- পাক শিল্পীদের বাদ না দিলে নিজেদের স্টাইলে ব্যবস্থা, মিউজিক কোম্পানিগুলিকে হুমকি এমএনএসের


উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-র কনভয়ে জঙ্গি হামলায় নিহন হন ৪০ জওয়ান। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ আজাহার মাসুদের জইশ-ই-মহম্মদ নামে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। নারকীয় হামলার সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মহল। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স-সহ একাধিক রাষ্ট্রও ভারতে পাশে থেকে সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করে। পাকিস্তানকে কার্যত কোণঠাসা করা হয়েছে। এক সঙ্গে এত কটা তরতাজা জওয়ানের মৃত্যুতে এখনও শোকে নিমজ্জিত দেশবাসী। উল্লেখ্য, জঙ্গি হামলার দ্রুত ‘যোগ্য জবাব’ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।