নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘নামের তালিকা’ ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। ভোট যতই সামনে এগোচ্ছে, রাজনীতিকরাও উচ্চগ্রামে চড়াচ্ছেন সুর। আর তাতেই ইতি উতি বেফাঁস মন্তব্য বেরিয়ে আসছে। নরেন্দ্র মোদীকে কেউ বলছেন ‘নেমকহারাম’, কেউ বা বলছেন ‘ডেঙ্গি মশা’। এ বার নয়া সংযোজন ‘অ্যানাকোন্ডা’। বললেন অন্ধ্র প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ইয়ানামালা রামা কৃষ্ণেন্দু। কৃষ্ণেন্দু প্রশ্ন করেন, নরেন্দ্র মোদী থেকে বড় অ্যানাকোন্ডা আর কে হতে পারেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- টয়লেটে ছড়িয়ে ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন, ছাত্রীদের পোষাক খুলে তল্লাশি চলল স্কুলে


এনআরসি, রাফাল, সিবিআই, আরবিআই – একের পর এক বিতর্কে বিদ্ধ মোদী সরকার। রাফাল বিতর্কে রাহুল গান্ধী বলছেন, চৌকিদার চোর। গুজরাতে ‘বিহারি খেদাও’ বিতর্কে দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানি বলেন, “দেশের ক্যাপটেন নেমকহারাম।” আর ‘অ্যানাকোন্ডা’ বলে প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করলেন অন্ধ্র প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ইয়ানামালা। তিনি বলেন, “তিনি নিজেই বড় অ্যানাকোন্ডা। সিবিআই, আরবিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছেন।” তাঁর আরও মন্তব্য, “অতীতের রাজনীতি নিয়ে বলছেন টম, ডিক এবং হ্যারির মতো ব্যক্তিরা। কিন্তু অতীত কোনওদিন বর্তমান বা ভবিষ্যত হয় না। তবে, বর্তমান বা ভবিষ্যত অতীত হতে পারে। টিডিপি-র (তেলুগু দেশম পার্টি) সমালোচকদের বোঝা উচিত এটা।”


আরও পড়ুন- ‘অভ্যর্থনা জানাচ্ছি তৃণমূলকে, শিলচরের ‘ভুল শুধরে’ নিল সোনোয়াল সরকার!


উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের এক জনসভায় প্রাক্তন মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের মেয়ে তথা বিধায়ক প্রণীতি বলেন, “দেশে নতুন ডেঙ্গি মশার আবির্ভাব হয়েছে। যার নাম মোদী বাবা। সবাইকে অসুস্থ করে ছাড়চ্ছে।” তেমনই জিগনেশ মেওয়ানি পটনায় মোদীকে নেমকহারাম বলে সম্বোধন করেন। মেওয়ানি বলেন, “দেশের ক্যাপ্টেন নেমকহারাম। বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা দিনরাত খেটে আহমেদাবাদ, রাজকোট, সুরাট, ভদোদরায় রাস্তা-ফ্লাইওভার বানাচ্ছেন। সেই গুজরাটে ১২-১৫ দিন ধরে বিহার, উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে। আর এই নেমকহারাম একটা কথাও মুখে আনেননি। নরেন্দ্র মোদী আপনাকে ধিক্কার জানাই।” বেঙ্গালুরুতে সাহিত্য উত্সবে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরের মন্তব্য, ''মাথায় বিছের মতো চড়ে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। হাত দিয়েও সরানো যাবে না, আবার চপ্পল দিয়েও মারা যাবে না''।