Manipur Violence: `দেশের সম্মানহানি হচ্ছে! কাউকে রেয়াত করা হবে না`, মণিপুরের ঘটনায় মুখ খুললেন মোদী
বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, `মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা কখনও ক্ষমা করা যাবে না, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরের ঘটনায় (Manipur Violence) প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। 'দেশের মর্যাদাহানি হচ্ছে, মহিলাদের উপর অত্যাচারে কঠোর পদক্ষেপ’ কাউকে ছাড়া হবে না' মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার। যে কোনও জায়গায় নারীদের উপর অত্যাচার হলেই কঠোর ব্যবস্থা নিন। মণিপুরেও দোষীদের ছাড় নয়। গোটা দেশের মাথা নত হচ্ছে।' এদিন বাদল অধিবেশনের আগে বললেন মোদী।
বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, 'মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা কখনও ক্ষমা করা যাবে না, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।' প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই জানান, মনে বেদনা ও ক্ষোভ নিয়েই তিনি সকলের মাঝে গণতন্ত্রের এই মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। মণিপুরে যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তা যে কোনও সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক। মোদী বলেন, 'আমি সব মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন নিজেদের রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা আরও জোরদার করেন। বিশেষ করে আমাদের মা-বোনদের সুরক্ষার জন্য কঠোরতম পদক্ষেপ নিন'।
উল্লেখ্য, দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পর সেই মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। অশান্ত মণিপুরে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে মণিপুরের মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে। মণিপুরের প্রশ্নে এবার সংসদেও এককাট্টা বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিরোধী দলের বৈঠক। সংসদে কৌশল নির্ধারণের জন্য বৈঠকে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে একজোট বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে মোদীর বিবৃতির দাবিতে সুর চড়াবে বিরোধীরা।
বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ জোর দিয়ে বলেন, অধিবেশন চলাকালীন মণিপুরের সংকট নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবি নিয়ে কোনও আষোপ নয়।প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনে ৩১ টি বিল উত্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লিতে পরিষেবা সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে 'দ্য গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি' (সংশোধনী) বিল, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, জৈব বৈচিত্র্য (সংশোধন) বিল, এবং বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী বিল।