নিজস্ব প্রতিবেদন- কৃষি বিল নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন এই বিলের অপকারিতা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই কৃষি বিল কৃষকদের লাভের থেকে ক্ষতি করবে বেশি। এমনই দাবি করছে বিরোধীরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক রাজ্যে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কয়েক লাখ কৃষক। বাংলাতেও এই বিলের বিরোধিতায় চাষিরা রাস্তায় নেমেছেন। বিজেপি সরকারের এই কৃষি বিল কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন, এই বিল আসলে কৃষকদের জন্য সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিল-এর উপকারিতা বোঝালেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক যেন গল্প বলতে বসেছিলেন তিনি। গল্পের ছলেই কৃষিবিলের উপকারিতা বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশবাসীর উদ্দেশে বলে দিলেন, ''আপনারা এবার গল্প বলা শুরু করুন। আমাদের দেশে গল্প বলার সংস্কৃতি বহু পুরনো। কিন্তু এই সংস্কৃতি প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।'' এরপর প্রধানমন্ত্রী গল্প বলার উপকারিতা নিয়ে কথা বললেন। তারপর জরুরি প্রসঙ্গে প্রবেশ করলেন। বললেন, করোনা মহামারীর সময় কৃষকরা দেশকে শক্তি জুগিয়েছে। যে কোনো কঠিন সময়ে কৃষকদের জন্য দেশের প্রগতির চাকা ঘুরতে থাকে। কৃষকরাই আমাদের দেশের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মূল আধার। 


আরও পড়ুন-  কৃষি বিলে ভাঙন শাসক জোটে, NDA ছাড়ার সিদ্ধান্ত শরিক অকালি দলের


প্রধানমন্ত্রী হরিয়ানার সোনিপথের এক চাষী পরিবারের উদাহরণ টানলেন। তারপর দাবি করলেন, কৃষকরা সরাসরি ফসল বিক্রি করতে পারবেন, এর থেকে বড় সুযোগ আর কী হতে পারে! কৃষকরা খোলা বাজারে নিজেদের ইচ্ছে মতো দামে সবজি বিক্রি করতে পারবেন। এমনকী ফাইভ স্টার হোটেল, রিটেল মলেও চাষিরা সরাসরি শাকসবজি, ফলমূল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। এতে চাষী ও ক্রেতার মাঝে ফড়েদের উপদ্রব কমবে। আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর শহীদ ভগৎ সিং-এর জন্মদিন। সেই কথাও উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী। আবার চার বছর আগে পাকিস্তানের ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গও তুললেন। সব শেষে অবশ্য করোনা মহামারী মোকাবিলার কথা বলতেও ভুললেন না। তিনি আবার মনে করালেন, দো গজ কি দুরি-র প্রয়োজনীয়তা।