নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার বেনজির কাণ্ড ঘটতে চলেছে লালকেল্লায়। ১৯৪৭ সাল থেকে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসেই তেরঙা উত্তোলন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরুর জমানা থেকেই চলে আসছে এই রীতি। তবে মোদীর জমানায় বদল আসছে এই রীতিতে। ২১ অক্টোবর লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন হঠাত্ ২১ অক্টোবর পতাকা উত্তোলন করবেন মোদী? সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে ২১ অক্টোবর। ওই দিনকে স্মরণ করে পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ কর্মসূচিতে মোদী বলেন,'২১ অক্টোবর পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য পেতে চলেছি আমি। এখন আপনারা প্রশ্ন করবেন, কেন ২১ অক্টোবর? এমনকি আমাকে সমালোচনাও সহ্য করতে করতে হবে। চলতি বছরে ২১ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ স্বাধীন ভারত সরকার স্থাপন করেছিল'।    



১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর ভারতে প্রথম স্বাধীন সরকার গঠন করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। পোর্টব্লেয়ারের জিমখানা মাঠে (বর্তমানে নেতাজি স্টেডিয়াম) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন নেতাজি। একইসঙ্গে ওই দ্বীপটি ব্রিটিশ ভারতের থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন সুভাষ চন্দ্র।      


তার পরের বছর ১৪ অগস্ট ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের মইরাং দখল করেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ। প্রায় ৪ বছপ মইরাং দখলে রেখেছিল নেতাজির বাহিনী। আলাদা মুদ্রা ও স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়েছিল। আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ১১টি দেশ। অন্যান্য দেশে খোলা হয়েছিল দূতাবাস।       


২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী যাতে পতাকা উত্তোলন করেন, সেজন্য নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন নেতাজির পপৌত্র তথা বাংলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। সেই আবেদন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল বলে জানা গিয়েছে। 


৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি লোকসভার আগে বিজেপির হাতে আরও একটা তাস তুলে দিল। শুধু বাংলাতেই নয়, ভারতের সব প্রান্তে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বন্দিত হন। লোকসভা ভোটের আগে নেতাজি আবেগকে পুঁজি করে নামছে বিজেপি। এতে লাভবান হবে বঙ্গ বিজেপিও।   


আরও পড়ুন- রাম মন্দির তৈরি করতে আইন আনা উচিত মোদী সরকারের: আরএসএস সুপ্রিমো মোহন ভগবত