গান্ধী পরিবারকে চরম আক্রমণ মোদীর, সতর্ক করলেন মালিয়াদেরও
গান্ধী পরিবারের উদ্দেশে কামান দাগেন মোদী। বলেন, `দেশের সব থেকে প্রভাবশালী পরিবার, চার প্রজন্ম ধরে যাঁরা দেশ শাসন করেছে তাদের এখন জামিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। তাও আবার আর্থিক অপরাধের মামলায়।` আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে হাজিরা দিতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছরের প্রথম দিনই বিস্ফোরক সাক্ষাত্কারে গান্ধী পরিবারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারসরি আক্রমণ করে মোদী এদিন বলেন, চার প্রজন্ম ধরে যাঁরা দেশ শাসন করেছেন তাঁদের এখন জামিনে ঘুরতে হচ্ছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কার্যত দুর্নীতির মদতদাতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একথা ঠিক যে টাকা নয়ছয় করে কিছু মানুষ দেশের বাইরে আত্মগোপন করে রয়েছে। কিন্তু এতদিন তো তারা সরকারের সঙ্গে বোধাপড়ে করে দেশেই থেকে যেত। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, টাকা নয়ছয় করে রক্ষে নেই। তাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তারা।' প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'দেশ ছাড়ার পর কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেশে ফেরাতে সময় লাগে। আইনি ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরানো সম্ভব। সেই সব প্রক্রিয়া জারি রেখেছে সরকারি সংস্থাগুলি। আজ না হোক কাল, পলাতকদের দেশে ফিরতেই হবে।'
উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগ নিয়ে ‘গোপন কথা’ শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী
এর পরই গান্ধী পরিবারের উদ্দেশে কামান দাগেন মোদী। বলেন, 'দেশের সব থেকে প্রভাবশালী পরিবার, চার প্রজন্ম ধরে যাঁরা দেশ শাসন করেছে তাদের এখন জামিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। তাও আবার আর্থিক অপরাধের মামলায়।' আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে হাজিরা দিতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা চালিত হয়ে কাউকে জেলে ভরবে না তাঁর সরকার। তিনি বলেন, 'আদালতে সমস্ত তথ্য তুলে ধরবে সরকার। তারপর আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই শিরোধার্য।'
হিন্দুস্তানে হিংসার কোনও স্থান নেই, স্পষ্ট বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
বলে রাখি, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বর্তমানে জামিনে মুক্ত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তাঁদের বিরুদ্ধে ভুল পদ্ধতিতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের অভিযোগ রয়েছে।