নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রপতি বিবৃতির জবাবী ভাষণে ‘সবকা বিকাশ সবকা সাথ সবকা বিশ্বাস’ নিয়ে চলার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেশবাসী আরও বেশি আস্থা নিয়ে বিশ্বাস করেছে এই সরকারের উপর। তাই এই সরকার পথভ্রষ্ট হবে না, হারিয়েও যাবে না। গত পাঁচ বছরের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বিদ্যুত্, রান্নার গ্যাস ঘরে ঘরে সফলভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছে বলে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন। তিনি বলেন, “মানুষ না চাইলেও সরকার সেই সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। তাই মানুষ বলে কেন করছেন কিন্তু আগে (কংগ্রেস জমানা) বলতেন কেন করছেন না।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাষ্ট্রপতির বিবৃতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণের প্রথম দিনে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, এই দুর্দিনে কংগ্রেস রুগ্ন হয়েছে কিন্তু তার উচ্চতা হারায়নি। অধীরের মন্তব্য টেনে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, কংগ্রেস আরও উঁচুতে থাকুক আমরা এটা চাই। এতটাই উঁচুতে কংগ্রেস রয়েছে, তার সঙ্গে জমির কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই সরকার মাটির সঙ্গে জুড়ে কাজ করে। গভীরে ঢুকে কাজ করে। মোদীর আরও কটাক্ষ, কংগ্রেস যতই উঁচুতে উঠবে এই সরকারের ফায়দা হবে।


আরও পড়ুন- “ধাক্কা মারবেন না”, সাংবাদিকের চক্রব্যূহে পড়ে দিশাহারা মিমি-নুসরত


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানান, তাঁর সরকার বরাবরই বলেছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতীতের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি এ-ও বলেন, নরেন্দ্র মোদী সম্ভবত প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি এভাবে অকপটে স্বীকার করেছেন। আজ ১৯৭৫ সালে জরুরী অবস্থার ৪৪তম বর্ষপূর্তি। এ দিনের কথা স্মরণ করে কংগ্রেসের ভূমিকার তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিল কংগ্রেস। শুধুমাত্র এক ব্যক্তি (ইন্দিরা গান্ধী) ক্ষমতায় থাকার জন্য। তাঁর মন্তব্য, যাঁরা এই ‘পাপ’ কাজের ভাগীদার, তাঁদের গায়ে সেই দাগ চিরদিন থেকে যাবে।


প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন ক্ষমতায় আসার পর এক মিনিটের জন্য বসে থাকেনি তাঁর সরকার। গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। চাষি, ছোটো ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন, জওয়ান ও পুলিসদের সন্তানদের বৃত্তি-সহ এক গুচ্ছ প্রকল্প চালু করে দেওয়া হয়েছে। মোদী এ দিন বলেন, জলশক্তি মন্ত্রণালয় তৈরি করা হয়েছে। জল সঙ্কট নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করবে এই সরকার। সব ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।