নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডে মা-বাবা বা অভিভাবক হারানো অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল,'কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে অভিভাবক, আইনি অভিভাবক বা পালিত অভিভাবকের মৃত্যু হলে শিশুদের পিএম কেয়ার ফর চিল্ড্রেন স্কিমে সহযোগিতা করা হবে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনাথ শিশুদের সাহায্যের জন্য শুক্রবার কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়,পিএম কেয়ারস তহবিল থেকে দেওয়া হবে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যর খরচ। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, ১৮ বছর পর্যন্ত ৫ লক্ষের স্বাস্থ্য বিমা, বিনা সুদে শিক্ষা ঋণ, বিনামূল্যে পড়াশুনো করতে পারবে শিশুরা। নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) টুইট, জানালেন,''দেশের ভবিষ্যৎকে সহায়তা।''    



স্থায়ী আমানত


প্রতিটি শিশুর জন্য ১০ লক্ষের একটি তহবিল তৈরি করা হবে। ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত ওই তহবিল থেকে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। যাতে উচ্চশিক্ষা ও ব্যক্তিগত খরচ করতে পারে। ২৩ বছরে হলেই মিলবে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা। তা ব্যক্তিগত ও পেশাদার কাজে লাগানো যাবে।      


স্কুল শিক্ষা 


বয়স ১০ বছরের নীচে হলে নিকটবর্তী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করা হবে শিশুটিকে। পিএম কেয়ারস ফান্ড থেকে দেওয়া হবে বেসরকারি স্কুলের ফি। পাওয়া যাবে স্কুল ইউনিফর্ম, বই, খাতার খরচও।  


বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসিক শিক্ষালয় যেমন সৈনিক স্কুল, নবোদয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে অনাথ শিশুদের। পরিবারের লোকজন বা দাদু-দিদার কাছে থাকতে চাইলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় অথবা বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনো করতে পারবে।


উচ্চশিক্ষায় সহায়তা


বিনা সুদে শিক্ষা ঋণ নেওয়া যাবে। পিএম কেয়ারস থেকে দেওয়া মেটানো হবে সুদ। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পে এই শিশুদের বৃত্তির সমান টিউশন ফি, স্নাতকস্তরের ও বৃত্তিমূলক কোর্সের ফি দেওয়া হবে। বৃত্তি না পেলে পিএম কেয়ারস থেকে টাকা দেওয়া হবে। 


স্বাস্থ্য বিমা


আয়ুষ্মান যোজনার আওতায় ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা। ১৮ বছর পর্যন্ত কিস্তি মেটাবে পিএম কেয়ারস।     


আরও পড়ুন- ভারতে Remdesivir-এর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর