নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাসে দুজন আক্রান্তের খবর মিলেছে। দেশবাসী আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস,''করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক করবেন না। একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সামান্য কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হবে।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার তেলেঙ্গানায় ও দিল্লিতে নতুন করে দু'জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। রাজস্থানের জয়পুরে এক ইতালীয় পর্যটকের শরীরেও ভাইরাসের উপস্থিতি। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে আশ্বাস করলেন নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লিখেছেন, ''করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। নিজেদের আত্মসুরক্ষার জন্য সামান্য কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হবে।''


কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সমস্তরকম পদক্ষেপ করেছে বলেও আশ্বাস দিলেন নরেন্দ্র মোদী। লিখেছেন, ''COVID-19 Novel Coronavirus প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি।  একসঙ্গে কাজ করছে বিভিন্ন দফতর ও রাজ্য। ভারতে আসা ব্যক্তিদের শারীরিক পরীক্ষা থেকে চিকিত্সাব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।''              
  
সোমবার তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ২৪ বছরের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের করোনভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ওই ব্যক্তি দুবাইয়ে গিয়েছিলেন গতমাসে। সেখানে হংকংয়ের নাগরিকদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হয়েছিল তাঁকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। 


দিল্লিতে করোনাভাইরাসে পজিটিভি ধরা পড়েছে ৪৫ বছরের এক ব্যক্তির শরীরে। সদ্য ইতালি থেকে ফিরেছেন তিনি। সূত্রের খবর, দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি। তারণ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে এসেছিলেন দিল্লিতে। সেখানে করোনাভাইরাস ছড়ায়নি। ওই বিমানের কর্মীদের ১৪ দিন ধরে থাকতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের তেমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। 


জয়পুরে বেড়াতে আসা এক ইতালীয় পর্যটকও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও তাঁর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণের  National Institute of Virology-তে। 


এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ কেরলের বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই  চিনের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। গত ডিসেম্বরে চিনে ছড়ায় করোনাভাইরাস। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশে আক্রান্ত ৮৮ হাজার মানুষ।