Modi Bats for CAA: হিন্দু-শিখরা দেশভাগের শিকার; পাশে দাঁড়াতেই সিএএ, গুজরাট ভোটের আগে সরব মোদী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল বলেন, মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। এর জন্য আইন আনা হয়েছে। তবে তার রুল তৈরি করতে গিয়ে কিছু সমস্য়া হয়েছে। তা দূর করার চেষ্টা চলেছে। আপনারা ধরে নিন নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কিন্তু তার জন্য কিছু সময় লাগবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর মুখে সিএএ-র কথা। দিল্লিতে আজ গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশভাগের ফলে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও শিখরা। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতেই সিএএ তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, দেশ বিভাজনের সময়ে যারা অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাদের কথা স্মরণ করতে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস চালু করেছে সরকার। বিভাজনের শিকার হিন্দু ও শিখদের জন্য আমরা সিএএ তৈরি করেছি। যারা ভারতের বাইরে রয়েগিয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটা চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন গুজরাটে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভারত প্রমাণ করেছে দুনিয়ার যেখানেই থাকি ভারত আমাদের ঘর।
আরও পড়ুন- সুযোগ পেলেই ফের চালিয়ে খেলবেন, অশ্বিনকে জানালেন নতুন 'মিস্টার 360 ডিগ্রি'
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গুজরাটের ২ জেলার বসবাসকারী অমুসলিম বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার পর আজ দিল্লিতে গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ফের সিএএ নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এক কথাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ইতিমধ্যেই সিএএ পাস করিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু এনিয়ে আইন ফ্রেম করে উঠতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী আজ সাফ বললেন দেশভাগের ফলে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও শিখরা। গুজরাট নির্বাচনের আগে তিনি একপ্রকার বার্তা দিয়ে দিলেন, ওইসব হিন্দু ও শিখদের প্রতি সরকার বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়ালের মুখেও সিএএ। গতকাল তিনি এসেছিলেন ঠাকুরনগরে। এদিন তিনি বলেন, মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। এর জন্য আইন আনা হয়েছে। তবে তার রুল তৈরি করতে গিয়ে কিছু সমস্য়া হয়েছে। তা দূর করার চেষ্টা চলেছে। আপনারা ধরে নিন নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কিন্তু তার জন্য কিছু সময় লাগবে।।
সিএএ প্রসঙ্গে টেনে আনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে সিএএ পাস করানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও রুল ফ্রেম করতে পারেনি সরকার। এরা বিভিন্ন জায়গা বিভিন্নরকম কথা বলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অসমে এক কথা বলেন, বাংলায় এসে অন্য কথা বলেন। গুজরাট ভোটের আগে সিএএ চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানেও ধোঁয়াশা রয়েছে। ২০১৯ সালের নীতি অনুযায়ী তা করা হল নাকি ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী করা হল তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নীতি স্পষ্ট। যারা এদেশে বহুদিন ধরে রয়েছেন তারা এখানকার নাগরিক।