নিজস্ব প্রতিবেদন: শততম কিসান রেলের (Kisan Rail) সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শততম কিসান রেলটি চলবে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত। শাক-সবজির মতো পচনশীল কৃষিজ ফসল পরিবহণে বিশেষ ট্রেন চালাতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) জানিয়েছে, কিসান রেল দেশজুড়ে কৃষি পণ্য পরিবহণে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। পচনশীল শাক-সবজি দ্রুত পাঠানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা, পেঁয়াজ এবং আঙুর, কমলালেবু, কলা, আতা ও বেদানার মতো ফল বহন করছে কিসান রেল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অগস্টে শুরু হয়েছিল প্রথম কিসান রেল (Kisan Rail)। তারপর থেকে একের পর এক ট্রেন চালু হয়েছে। সোমবার সুবজ পতাকা দেখিয়ে শততম কিসান রেলের সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। অভিনন্দন জানালেন কৃষকদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানাতে চাই। কোভিড চ্যালেঞ্জের মাঝেই কিসান রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছে। এবার শততম কিসান রেল চালু হল।'         



 



তাঁর সংযোজন,'কৃষকদের আয় বাড়াতে বড় পদক্ষেপ কিসান রেল পরিষেবা। কিসান রেল পরিষেবা দেশের হিমঘরগুলিকেও আরও শক্তিশালী করে তুলবে। কিসান রেল বলতে পারেন, চলন্ত হিমঘর। ফল, সবজি, দুধ ও মাছের মতো পচনশীল পণ্য এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিরাপদে যেতে সক্ষম।'



১৪টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই চলছে ৯৯টি কিসান রেল। করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি পণ্যের সুগম পরিবহণের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। গত ৭ অগস্ট  নাসিকের দেওলালি থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত শুরু হয়েছিল প্রথম কিসান রেল। তা পরে সম্প্রসারিত হয় মুজফফরপুর পর্যন্ত। এই ট্রেনে সুগমে দেশের এক প্রান্ত থেকে আর প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে কৃষি পণ্য। ভোটের আগে বাংলাকে কিসান রেল দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। বিশেষ করে শুক্রবার কৃষি সম্মান নিধি যোজনা নিয়ে বাংলাকে নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার কৃষকরা। তার পাল্টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- কুখ্যাত Chota Rajan-এর নামে ডাকটিকিট! ডাক বিভাগের বড় ভুলে হইচই দেশজুড়ে