G 20 Summit 2023: `দুই দেশ, লক্ষ্য একই`, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কী বললেন সুনক
G 20 Summit 2023: আজ জি ২০ বৈঠক থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশকেই যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা এবং পশ্চিমি দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লিতে এসেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সম্মেলনের ব্যস্ততার মধ্যেই তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কথা হল দুদেশের বাণিজ্যে উন্নতি ও বিনিয়োগ বাড়ানো নিয়ে। সম্মেলনের প্রথম সেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন সুনক।
আরও পড়ুন-জি২০-র ঘোষণাপত্রে নতুন অধ্যায়! বাকি সদস্যদেশ কী ভাবে নেবে ইউক্রেন-প্রসঙ্গ?
ওই বৈঠকে শেষ এক্স হ্যান্ডলের(ট্যুইটার) সুনক লিখেন, 'দুই দেশ লক্ষ্য একটাই। সেই লক্ষ্য যা আমাদের দুদেশের শিকড়ের মধ্যে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ এবং অবশ্যই ক্রিকেট।'
অন্যদিকে, ওই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। কীভাবে দুদেশের বাণিজ্যে উন্নতি করা যায় ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' এই বিশ্বকে আরও উনন্ত করে তুলে দুদেশ কাজ করে যাবে।
এদিকে, আজ জি ২০ বৈঠক থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশকেই যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা এবং পশ্চিমি দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও ছিন্ন করেনি। আবার ইউক্রেনকেও দূরে ঠেলে দেয়নি। আগাগোড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে সে।
তবে জি২০-ভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা সমবেত হয়েছেন নিউ দিল্লিতে, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনও একটি দেশকেই পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করেছেন, অন্য দেশকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। কিন্তু জি২০-র হোস্ট ভারতের তরফে শনিবার সকালে মূল বৈঠকের আগেই খসড়া যৌথ ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন সংকট সংক্রান্ত একটি অংশ যুক্ত করা হয়। জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে স্পষ্টতই মতের অমিল রয়েছে চিনের। ফলে শেষ পর্যন্ত এই প্রশ্নে ঐকমত্য আসবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।