নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামীণ অর্থনীতিতে পশুপালনের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন মথুরায় জাতীয় পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, স্বচ্ছতা হি সেবা ও জাতীয় কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে মোদী মনে করিয়ে দেন, পরিবেশ ও পশু সম্পদ ভারতের আর্থিক উন্নতির গুরুত্ব অংশ। কৃষকদের আয়বৃদ্ধিতে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে পশুপালনের। এতে বিনিয়োগ করলে বেশি আয় হয়। মোদী দাবি করেন, দুধ উত্পাদনে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এতে কৃষকদের আয় বেড়ে ১৪ শতাংশ। সব ঘরে যাতে গরু থাকে তার চেষ্টা চলছে। 
  
গোপালনের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''এদেশের দুর্ভাগ্য, কিছু মানুষের কানে গরু ও ওম শব্দ গেলে চুল খাড়া হয়ে যায়। তারা মনে করে, দেশ ষোড়শ শতাব্দীতে পৌঁছে গিয়েছে। এমনই ওদের জ্ঞান! দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার পথে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,''ব্রজভূমি চিরকাল বিশ্ব ও মানবতাকে অনুপ্রাণিত করেছে। পরিবেশ বাঁচানোর পন্থা খুঁজছে গোটা দুনিয়া। কিন্তু ভারতের কাছে শ্রী কৃষ্ণ আদর্শ। পরিবেশপ্রেম ছাড়া তাঁকে কল্পনাই করা যায় না। প্রকৃতি, পরিবেশ ও পশুধন ছাড়া তিনি অসম্পূর্ণ। ততটাই অসম্পূর্ণ ভারত। পরিবেশ ও পশুধন চিরকালই ভারতের আর্থিক ভাবনার মহত্বপূর্ণ অংশ।''


দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম একশো দিনের কাজের কথাও এদিন ফলাও করে প্রচার করেছেন মোদী। বলেন,''গত ১০০ দিনে অপ্রত্যাশিত কাজ করেছি। দেশের উন্নয়নে আপনাদের সমর্থন এভাবে পাব।'' এনসেফেলাইটিসের মোকাবিলায় যোগী সরকারের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মোদীর গলায়। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এনসেফাইটিসের মোকাবিলায় আজীবন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। সংসদেও বিষয়টি নজরে এনেছিলেন। যদিও স্বার্থাণ্বেষীরা কয়েকটি শিশুমৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করেছিল। কিন্তু যোগীকে থামাতে পারেনি তারা। তিনি কাজ করে গিয়েছেন।


আরও পড়ুন- নিজেদের ওয়েবসাইটের প্রার্থীতালিকাকে ভুয়ো বলে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ড