PM Modi on President`s Address: আদানি প্রশ্নে মুখে কুলুপ, শ্রীনগরে `পাঠান`-এর হাউসফুল শো নিয়ে কী বললেন মোদী!
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউপি জমানায় ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ছিল সন্ত্রাসের রমরমা। পশ্চিমভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত হিংসা হতো। সেইসময় গোটা দুনিয়ার সামনে ভারত এতটাই দুর্বল ছিল যে বিশ্বের কোনও দেশ ভারতকে আমল দিত না
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি বক্তৃতায় কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস আমলের ভ্রষ্টাচার, বিরোধীদের সরকারকে সম্মীলিত নিশানা করার অভ্যেস নিয়ে মন্তব্য করলেন মোদী। কিন্তু শিল্পপতি গৌতম আদানি নিয়ে মুখে কুলুপ মোদীর।
আরও পড়ুন-ভোটদাতারা যা পারেনি সেটাই করে দেখিয়েছে ইডি, বিরোধীদের তীব্র নিশানা মোদীর
লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মোদীকে আক্রমণের হাতিয়ারই ছিল শিল্পপতি গৌতম আদানি। তাঁর দাবি গৌতম আদানির সম্পত্তি বাড়ার পেছনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত রয়েছে। ভারতে রাজনীতি ও শিল্পপতিদের সম্পর্কের উপরে এবার নজর দেওয়া উচিত হার্ভাডের। আর এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গোল্ড মেডেল দেওয়া উচিত। ২০১৪ সালের পর থেকে আদানির সম্পত্তি রকেটের গতিতে বেড়েছে। দুনিয়ায় ধনীদের তালিকায় ৬০৯ নম্বর থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আদানি। এসব হয়েছে ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির আমলে। পাশাপাশি আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে রাহুল বলেন, উনি আদানির বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের কথা বলেননি। এত খুব স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বাঁচানের চেষ্টা করছেন।
নাম না করে কংগ্রেসকেই আজ নিশানা করেন মোদী। ইউপিএ আমলে কংগ্রেসের দুর্নীতির কথা টেনে এনে মোদী বলেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইপিএ জমানায় দেশের অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওই সময়ে টানা এক দশক দেশের একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে, হিংসা হয়েছে, হাতের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার যে সুযোগ এসেছে তাকেই দুর্নীতিতে পরিণত করেছে তত্কালীন সরকার। ওই সময়টা সাংঘাতিক হতাশার সময়। তাই তারা এখন দেশের উন্নতি চোখে দেখতে পারেন না বিরোধীরা। ২০১৪ সালের আগে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল খুবই বেশি। এমনকি তা ছিল স্বাধীনতার পর থেকে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি। ইউপিএ জমানার শেষ ১০ বছর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত জঙ্গিদের রমরমা ছিল। সেইসময় গোটা দুনিয়ার সামনে ভারত এতটাই দুর্বল ছিল যে বিশ্বের কোনও দেশ ভারতকে আমল দিত না। বিরোধীরা বলে ভারতের ধ্বংস এক সময় হার্ভাডে আলোচনার বিষয় হবে। কিন্তু গত কয়ে বছরে হার্ভাড একটা বিষয় ঠিক করে ফেলেছে। তা হলে কংগ্রেসের উত্থান ও পতন। উল্লেখ্য, এতকিছু বললেও প্রধানমন্ত্রীর মুখে গৌতম আদানিকে নিয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউপি জমানায় ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ছিল সন্ত্রাসের রমরমা। পশ্চিমভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত হিংসা হতো। সেইসময় গোটা দুনিয়ার সামনে ভারত এতটাই দুর্বল ছিল যে বিশ্বের কোনও দেশ ভারতকে আমল দিত না। এখন তা বিরল। কয়েক দশক পর শ্রীনগরে সিনেমা হলে হাউসফুল হয়েছে। সন্ত্রাসের কোনও ভয় ছিল না। কাশ্মীরে কংগ্রেস যে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছে তার সাফল্য এই সরকারের। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের লোকতন্ত্রের উত্সব হচ্ছে। কেউ কেউ বলতেন শ্রীনগরে তিরঙ্গা উড়লে সমস্যা হবে। এখন তারাও উত্সব সামিল। প্রসঙ্গত, ৩২ বছর পর শ্রীনগরে খুলেছে সিনেমা হল। শিবপোরায় আইনক্সে পাঠান-এর শো হাউসফুল হয়েছে বেশ কয়েকদিন। পাঠান-এর নাম না করে সেই দিকেই ইঙ্গিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।