নিজস্ব প্রতিবেদন: পদ খোয়ানোর আশঙ্কা মাথায় নিয়েই রবিবার নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফিরছেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখা হবে কিনা তা নিয়েই জল্পনা এখন তুঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর, দল ও সরকার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। শনিবারই দলের সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখা হবে। দলে গুঞ্জন, এম জে-র মন্ত্রীত্বের ভবিষ্যত খুব একটা সুরক্ষিত নয়। তবে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।



আরও পড়ুন-পুজো উদ্বোধনে ভিতর থেকে ফিতে কাটছেন দিলীপ, কেন? ব্যাখ্যা রাজ্য সভাপতির   


এদিকে এম জে আকবরকে সরানোর বিপক্ষেও রয়েছে দলের একাংশ। তাদের মত, আকবরের বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। কোনও মামলাও হয়নি। যেসব অভিযোগ উঠছে তা বহু পুরনো। সে সময় বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই ছিল না। এরকম এক অবস্থায় এম জে-কে সরালে তার ফল ভোগ করতে হবে। সামনেই ৫ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। বিষয়টিকে ইস্যু করতে পারে বিরোধীরা।



উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ৬ জন মহিলা প্রাক্তন সাংবাদিক ও সম্পাদক এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। প্রথন অভিযোগটি করেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। ভোগ ইন্ডিয়া-য় তাঁর লেখা একটি নিবন্ধে রামানি ওই অভিযোগ করেন। পরে তিনি আকবরের নাম প্রকাশ করেন। এরপর সুতপা পাল নামে আরও এক সাংবাদিক ওই একই অভিযোগ করেন। এক ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁকে আকবর যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা সাংবাদিক। একইরকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিক সাবা নাকভি ও লেখিকা গাজালা ওয়াহাব।


আরও পড়ুন-বৃষ্টি মাথায় তৃতীয়াতেই সুরুচিতে উপচে পড়ল দর্শনার্থীদের ভিড় 


এদিকে আকবরের বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযাগ করেছেন মাজলি ডে পু কাম্প নামে মার্কিন প্রবাসী এক সাংবাদিক। তাঁর অভিযাগ ২০০৭ সালে দ্যা এশিয়ান এজ সংবাদপত্রে ইন্টার্নশিপ করার সময় তাঁকে য়ৌন হেনস্থা করেন আকবর। কাম্প জানিয়েছেন, ইন্টার্নশিপ শেষ করে ফেরার সময় তিনি আকবরের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় আকবর কেবিনে তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন।