ওয়েব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প জনধন যোজনা। উদ্দেশ্য একটাই, নূন্যতম ব্যালেন্স ছাড়াই গ্রামের মানুষ নির্ভয়ে টাকা রাখতে পারবেন। কিন্তু প্রকল্পের জন্য যারা কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে তাদেরই বেতন বন্ধ। দেওয়া হচ্ছে না প্রতিশ্রুতি মারফত কমিশনও। সেই সঙ্গে নতুন নতুন নিয়মে জেরবার গ্রাহক পরিষেবাও। সব মিলিয়ে গ্রাহক হারাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য ব্যাঙ্কগুলি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপেক্ষাকৃত কম আয়ের ব্যক্তিরা যাতে সঞ্চয় করতে পারেন সেজন্য ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা প্রকল্প ঘোষণা করেন। উদ্দেশ্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার হাত থেকে থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য থাকবেন বেশ কিছু বিজনেস করেসপনডেন্ট বা ব্যাঙ্ক মিত্র। যাদের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অ্যাকাউন্টের যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।


সমস্যা সেখানেই। অভিযোগ, শুরুতে টাকা মিললেও এখন বন্ধ বেতন। কিভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন এই ব্যাঙ্ক মিত্ররা?


প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ ব্যাঙ্ক আতিআতি ও নবদীগন্ত নামের দুটি বেসরকারি সংস্থাকে লোক নিয়োগের বরাত দেয়। ঠিক ছিল বেতন ছাড়াও অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যার উপর কমিশন পাবেন তারা। মিলবে নেট পরিষেবা ব্যবহারের টাকাও। কিন্তু বাস্তবে এসবের কিছুই পাননি এঁরা।


সংস্থার কর্তারা অবশ্য দায় চাপাচ্ছেন ব্যাঙ্কের উপর। দোষ দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক মিত্রদের উপর। ব্যাঙ্ক মিত্রদের এই সমস্যার জেরে প্রায় মুখ থুবরে পড়েছে পরিষেবা। ক্রমশ উত্সাহ হারিয়ে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই।