নিজস্ব প্রতিবেদন : নীরব মোদী দুর্নীতিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সুইফ্ট মোডে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। আগের পদ্ধতি বদলে এখন থেকে লেটার্স অফ আন্ডারটেকিং বা এলওইউ গ্রাহ্য করতে এবার তিন আধিকারিকের সইয়ের প্রয়োজন হবে বলে ঘোষণা করল তারা। ব্যাঙ্কের কোনও শাখায় কোনও সাধারণ কর্মী সুইফ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে এলওইউ আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া পাশ করাতে পারবেন না। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বইয়ে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ব্র্যাড রোড শাখা থেকে সুইফ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেন ব্যবসায়ী নীরব মোদী। চলতি মাসে তদন্তে নেমে সিবিআই ও ইডি জানতে পারে ঋণ নেওয়ার গোটা পদ্ধতিটিই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। আর তাতে জড়িয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের ওই শাখারই দুই আধিকারিক। এরপরই সামনে উঠে আসে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্নীতির হদিস। নীরব মোদীর সঙ্গে এই দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর মামা মেহুল চোসকির।


দেশজুড়ে এই দুর্নীতির জালও ছড়িয়ে বলে গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২০১১-২০১৭ সালের মধ্যে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিক। রয়েছন নীরব মোদীর সংস্থার কয়েকজন আধিকারিকও।


কীভাবে কাজ করবে এই নতুন পদ্ধতি?


ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে আগে যে কোনও দু'জন ক্লার্ক সুইফ্ট পদ্ধতিতে নথি পরীক্ষা করে ঋণ মঞ্জুর করতে পারতেন। কিন্তু এখন থেকে তাতে বদল আনা হল। এবার থেকে তা আর কোনও ক্লার্ক মঞ্জুর করতে পারবেন না। তার বদলে সুইফ্ট পদ্ধতি একমাত্র নির্দিষ্ট কিছু আধিকারিকের মাধ্যমেই মঞ্জুর করা হবে।


প্রসঙ্গত সুইফ্ট পদ্ধতির অপব্যবহার রুখতে ২০১৬ সালে দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে তিনবার নির্দেশ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।