Pocso আইন রক্ষাকবচ, কিন্তু সেটা প্রেমের `সম্পর্ক`কে অপরাধ বলতে পারে না: হাইকোর্ট
কোর্ট নিজের বক্তব্যে জানিয়েছে যে গত ২০২১ সাল থেকে আবেদনকারী জেলে রয়েছেন এবং তাঁকে জেলে রেখে কোন লাভ হবে না। কঠোর অপরাধিদের সঙ্গে রাখলে তাঁর জন্য ভালর থেকে বেশি খারাপ হবে। ওই নাবালিকা নিজের এফআইআর এ জানান যে আবেদনকারী তাঁর পড়শি এবং তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবা করেন ওই যুবক। নাবালিকা জানিয়েছেন যে কিছুদিন পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এবং গর্ভপাতের সুযোগ আর ছিল না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পকসো আইনের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের যৌন শোষণ থেকে রক্ষা করা, অল্পবয়সে দুজনের মধ্যে সম্মতিতে তৈরি হওয়া সম্পর্ককে অপরাধী সাব্যস্ত করা নয়। দিল্লি হাইকোর্ট একটি রায়ে এই কথা জানিয়েছে। গর্ভবতী একজন নাবালিকা সংক্রান্ত এক্ট মামলায় ২৩ বছরের এক যুবককে জামিন দেওয়ার সময় আদালত এই কথা জানিয়েছে। আদালতে জানিয়েছে সম্পর্কের সময়ে ওই নাবালিকার বয়স ১৭ বছর হলেও সে ম্যাচিয়োর এবং বুদ্ধিমান ছিলেন। পাশপাশি আদালত আরও জানায় যে অভিযুক্তের সঙ্গে ওই নাবালিকার সম্মতিতে একটি রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল বলে মনে হয়েছে। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তাদের স্বাধীন ইচ্ছায় ঘটেছে বলে হাইকোর্ট বলেছে। আগের একটি রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: No Confidence Motion | Narendra Modi LIVE: অনাস্থা আলোচনায় এবার বক্তা মোদী, ছক্কা হাঁকাবেন?
হাইকোর্ট: ছেলেটিকে অপরাধীদের সঙ্গে রাখলে ক্ষতিই হবে
হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে যে একটি ‘ছোট ছেলেকে’ কঠোর অপরাধীদের সঙ্গে জেলে রাখা তাঁর জন্য ভালোর থেকে বেশি ক্ষতি করবে।
কোর্ট নিজের বক্তব্যে জানিয়েছে যে গত ২০২১ সাল থেকে আবেদনকারী জেলে রয়েছেন এবং তাঁকে জেলে রেখে কোন লাভ হবে না। কঠোর অপরাধিদের সঙ্গে রাখলে তাঁর জন্য ভালর থেকে বেশি খারাপ হবে। ওই নাবালিকা নিজের এফআইআর এ জানান যে আবেদনকারী তাঁর পড়শি এবং তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবা করেন ওই যুবক। নাবালিকা জানিয়েছেন যে কিছুদিন পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এবং গর্ভপাতের সুযোগ আর ছিল না।
আরও পড়ুন: Manipur Violence: মণিপুর নিয়ে উত্তাল সংসদ, ঠিক তখনই সামনে এল আর-এক গণধর্ষণের ঘটনা...
নিজের অর্ডারে কোর্ট জানিয়েছে যে নাবালিকা নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন যে তিনি নিজে অভিযোগ করতে চাননি। কিন্তু তাঁর পরিবারের চাপে তিনি এই অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছেন কারণ সম্ভবত তাঁর পরিবার বিব্রত হয়ে পরে ওই নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায়।
আদালত এও জানিয়েছে যে ঘটনার সময়ে মেয়েটির বয়স ছিল ১৭.৫ বছর কিন্তু তা সত্তেও সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছিল।
আদালত জানিয়েছে যে বিচারাধীন বন্দিকে জেলে রাখা হয় এটা নিশ্চিত করতে যে শুনানির সময় যাতে তিনি উপস্থিত থাকেন। কিন্তু তাঁকে জেলে না রেখেও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমেও তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
আদালত আরও জানিয়েছে যে ওই নাবালিকা এবং তাঁর মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ফলত এই মুহূর্তে সাক্ষী নষ্ট করা সম্ভব নয়।