নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির সমস্ত জিনিস সাজানো গোছানো। ঠিক যেমনটা থাকে প্রতিদিন। বাড়িতে দৈন্যতার ছাপ স্পষ্ট, তবে অগোছালো নয়। ছোট্টে একফালি বারান্দা পেরিয়ে দশ বাই বারোর ঘর। সেই ঘরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাঁচটি দেহ। প্রথমটায় হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। আকস্মিকতা ঘোর কাটিয়ে তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিস এসেও হতবাক। দুই শিশু, এক কিশোরী, এক মাঝবয়সী মহিলা ও তাঁর স্বামীর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরের বিভিন্ন জায়গায়। অন্য একটি ঘরে পড়ে ছিল এক বৃদ্ধ দম্পতির দেহও। তেলেঙ্গানার রাজাপেটের ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে স্তম্ভিত পুলিসও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: লাইসেন্স পিস্তল থেকেই মা ও ভাইকে গুলি শুটার মেয়ের


মৃত ব্যক্তির নাম ডি বালারাজ, তাঁর স্ত্রী তিরুমালা ও তাঁদের তিন সন্তান শিবানী, চিন্টু, বান্নি। বালারাজের বাবা-মায়ের নাম নরসাইয়া ও ভরতাম্মা।  প্রাথমিক তদন্তে পুলিস মনে করছে স্ত্রী ও ৩ সন্তান ও বাবা-মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বালারাজ। ঘরের যেখানে দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে, তার পাশেই পাঁচটি থালায় বিরিয়ানি ছিল। বিরিয়ানির মধ্যে পোলট্রি ফার্মে ব্যবহৃত কীটনাশক মেশানো হয়েছিল। তা খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভরসা রূপানিতেই, উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল


তবে কেন এরকম ঘটনা ঘটল?


তারই উত্তর খুঁজছে পুলিস। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সূত্রে পাওয়া যায়নি এখনও। কেন স্ত্রী সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হলেন বলরাজ? এর পিছনে কি কোনও অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে, না অন্য কোনও সমস্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।