নিজস্ব প্রতিবেদন: আনসারি হত্যাকাণ্ডে পুলিস এবং চিকিত্সকদের গাফিলতি রয়েছে। তদন্তের পর সরকারি রিপোর্টে এমনটাই জানানো হল। গত মাসে ঝাড়খণ্ডে মোটরবাইক চোর সন্দেহে বেধড়ক মারা হয় ২৪ বছর বয়সী তবরেজ় আনসারিকে। জোর করে তাঁর মুখ দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ স্লোগান বলানোর চেষ্টা চলে। তাঁকে পোস্টে বেঁধে রাতভর মারা হয়। হুঁশ হারালে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এর পর পুলিসি হেফাজতে আনসারিকে নেওয়া হলে, তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। প্রাথমিক চিকিত্সা করে জেলে পাঠানোর অনুমতি দেন দুই চিকিত্সক। প্রশ্ন ওঠে, অচৈতন্য অবস্থায় থাকা আনসারিকে কীভাবে সুস্থ ঘোষণা করলেন চিকিত্সকরা? অভিযোগ ওঠে, জেলের মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিস। সরকারি রিপোর্টেও এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন- বিধানসভায় আস্থা ভোটের আর্জি ‘কৌশলী’ কুমারস্বামীর, ইস্তফাকাণ্ডে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের


আনসারির স্ত্রী শাহিস্তা বলেন, “মুসলিম বলে তাঁকে নির্মমভাবে মারা হয়। পরিবারে সে ছাড়া কেউ নেই।” এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়্ছে ২ পুলিস কর্তাকে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। এ ঘটনায় চলতি সপ্তাহে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।