বিধানসভায় আস্থা ভোটের আর্জি ‘কৌশলী’ কুমারস্বামীর, ইস্তফাকাণ্ডে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন করে স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন ১১ বিধায়কের ৮ জন। স্পিকার স্পষ্ট জানিয়েছেন, সব কিছু খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্নাটকের বিধানসভার অধ্যক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। আজ সুপ্রিম কোর্ট সে কথা জানিয়ে দেয়। আর আজই বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে আস্থা ভোট করার প্রস্তাব রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলী চাল খেললেন কুমারস্বামী।
হাত এখনও তিন দিন সময়। জোট সরকারের পদত্যাগী বিধায়কদের উপর হুইপ জারি করে কংগ্রেস ও জেডিএস। তাঁদের যে কোনও অবস্থায় বিধানসভায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক পদ বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় জোটের সব বিধায়কই এ দিন বিধানসভায় আসেন। বিজেপি হুইপ জারি করে সব বিধায়ককে উপস্থিত করেছে। এর পর স্পিকারের কাছে কুমারস্বামী আস্থা ভোটের আর্জি জানান।
আরও পড়ুন- ‘বন্দুকধারী’ বিধায়ক চ্যাম্পিয়নকে শেষমেশ বহিষ্কৃত করল বিজেপি
উল্লেখ্য, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন করে স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন ১১ বিধায়কের ৮ জন। স্পিকার স্পষ্ট জানিয়েছেন, সব কিছু খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে ওই ৮ বিধায়কের ইস্তফাপত্র যথাপোযুক্ত না হওয়ায় খারিজ করে দেন তিনি। বাকিদের নিজের ইচ্ছায় না বলপূর্বক ইস্তফা দেওয়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। স্পিকারের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অভ্যব আচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা।
লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় কর্নাটকে। সরকার ফেলতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ ওঠে। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে জোট সরকারের বিধায়কদের ‘বন্দি’ করে রাখারও অভিযোগ ওঠে। যদিও এই সব অভিযোগ আমল দিচ্ছে না বিজেপি। সংসদে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রাজনাথ সিং বলেন, বিজেপি কখনও ঘোড়া কেনাবেচা করে না। কর্নাটকের পরিস্থিত বিষয়ে কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।