নিজস্ব প্রতিবেদন : একমাত্র মেয়ে তাঁর। তাঁকে পুলিসের উর্দি পরে দেখার স্বপ্ন ছিল বৃদ্ধের। বাবার ইচ্ছেপূরণ করল মেয়ে। কিন্তু মেয়েকে উর্দি পরে আর দেখা হল না তাঁর। মেয়ে অংশিকা পুলিসের চাকরি পেল বটে। কিন্তু নিজের চাকরি পাওয়ার খবর নিজেই জেনে যেতে পারলেন না। তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অংশিকা। এদিকে, মেয়ের অপেক্ষায় মাঠের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন বৃদ্ধ পিতা। মর্মান্তিক এই খবর পুলিসকর্তাদেরও চোখে জল এনে দিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাগপতের ফজলপুরে থাকতেন অংশিকা সিং। পুলিসের চাকরির জন্য গত কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এদিন পুলিসের চাকরির জন্য শারীরীক পরীক্ষা দিতে সময় মতো হাজির হয়েছিলেন অংশিকা। ১৪ মিনিটে ২.৪ কিমি দৌড় শেষ করেন। কিন্তু দৌড় শেষ করার পর ট্যাকেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। তার পর হাজার চেষ্টা করেও আর তাঁর জ্ঞান ফেরাতে পারেননি চিকিত্সকরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকর্মীরা অংশিকাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর তাঁর পরিবারের সবাইকে খবর দেওয়া হয়। অংশিকার সাফল্যের খবর পাওয়ার জন্য তখনও অধীর আগ্রহে মাঠের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর বাবা। 


আরও পড়ুন-  দুর্যোগে আটকে অন্তঃসত্ত্বা, চার ঘণ্টা বরফে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছে দিল সেনা


একমাত্র মেয়ের এভাবে মৃত্যু। ভেঙে পড়েছেন অংশিকার বাবা। অংশিকা বাড়ির বড় মেয়ে। তাঁর দুই ভাই রয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট বলছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল অংশিকার। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শরীরে অত্যধিক ধকল হলে অনেক সময় এমন হয়। হৃদপিন্ডের মাংসপেশিগুলি আলাদা আলাদা ছন্দে ধুকপুক করতে শুরু করে। তখনই এমন বিপদ হয়। আবার অনেক সময় শরীরে অত্যধিক ধকলের ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। তখন হৃদপিন্ডে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়।