নিজস্ব প্রতিবেদন:  তাঁরা ক্লান্ত, অভুক্ত, তৃষ্ণার্ত, তাঁদের দায় কাদের ওপর? সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাড়ি ফেরানোর, কিন্তু আশ্বাসে চিড়ে ভিজছে কই! তাই নিজেরাই হাঁটা শুরু করেছেন...মাইলের পর মাইল হাঁটছেন তাঁরা। কখনও ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হচ্ছে, কখনও আবার পথ দুর্ঘটনায় অন্তহীন হয়ে যাচ্ছে তাঁদের যাত্রা। এবার পুলিসের লাঠিচার্জের মুখে পড়তে হল পরিযায়ী শ্রমিকদের।
হরিয়ানার যমুনাননগরে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা রাস্তার ওপর জড়ো হন।  পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য লাঠিচার্জ করে।  মধ্যপ্রদেশের রেওয়া -তে একই ঘটনা ঘটেছে।


ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার! বুধবার সন্ধ্যায় আমফান আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপে
আদতে পরিযায়ী শ্রমিকরা খাবার পাচ্ছেন না। খাবার না পেয়ে তাঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের কাছে দাবি ছিল, অন্তত দু মুঠো খাবারের বন্দোবস্ত করা হোক তাঁদের জন্য। অভিযোগ, পুলিস কোনও কথা না শুনেই লাঠিচার্জ করতে শুরু করে।
সম্প্রতি পুলিসের লাঠির আঘাতে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রশাসন কি আরও একটু সহনশীল, সহানুভূতিশীল হতে পারে না? যাঁরা খালি পেটে মাইলের পর মাইল হাঁটছেন, শুধু বাড়ি ফেরার জন্য, তাঁদের বিক্ষোভ হটাতে কি সত্যিই লাঠিচার্জের প্রয়োজন? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।