নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার ফের বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। এতেই ধৈর্য হারিয়েছেন আহমেদাবাদে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাদের বিক্ষোভ আটকাতে শ্রমিকদের ওপরে বেধড়ক লাঠি চালাল পুলিস। আহত ও গ্রেফতার হয়েছেন বহু শ্রমিক। এর আগেও আহমেদাবাদে এরকম বিক্ষোভ হয়েছিল গত ৯ মে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Live: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২৪৬১, মৃত ১৫৩ | দেশে সক্রিয় আক্রান্ত ৫৩,৯৪৬, মৃত ২,৮৭২


সোমবার সকালে কয়েকশো পরিয়াযী শ্রমিক জড়ো হন আইআইএম আহমেদাবাদের কাছে বস্ত্রপুর এলাকায়। তাদের দাবি বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। লকডাউনের মধ্যে এই জমায়েত ভাঙতে তেড়ে আসে পুলিসও। শুরু হয়ে পাথরবৃষ্টি। তা গিয়ে পড়ে পথচলতি মানুষের ওপরেও। এরপরই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসে শেল। শ্রমিকদের তাড়া করে নিয়ে গিয়ে মারে পুলিস।



আহমেদাবাদের পুলিসকর্তা প্রবীণ মাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, পুলিস ওইসব শ্রমিকদের বাধা দেওয়ার পরই তারা পাথার ছুড়তে থাকে। পুলিসের ২টি গাড়িও তার ভাঙচুর করে। একটি নির্মান সংস্থার অফিসও ভাঙচুর করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রেফাতার করা হয়েছে ২৫০ জনকে।


আরও পড়ুন-সুপার সাইক্লোন হিসেবেই রাজ্যে ল্যান্ডফল হবে আমফান-এর; ভয়ঙ্কর হবে গতি


এর আগেও শ্রমিক বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুরাট। গত ৯ মে সুরাটের একটি গ্রামে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিকরা। তাদের দাবি ছিল হয় তাদের বাড়ি ফিরতে দিতে হবে, নয়তো কাজ করার অনুমতি দিতে হবে যাতে তারা রোজগার করতে পারে। ওই ঘটনাতেএও পুলিস লাঠিচার্জ করে, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


উল্লেখ্য, গুজারাটে কমপক্ষে ৫০ লাখ পরিষায়ী শ্রমিক কাজ করেন। এদের মধ্যে ৮ লাখ শ্রমিক ঘরে ফিরে গিয়েছেন।