১৭০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস বলল ৯২০ গ্রাম, বেচে লাখ টাকা কামাই
বাকি গাঁজা রাখা হল গুদামে লুকিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন - মাইনের টাকায় কুলোয়নি। বিলাসবহুল জীবন যাপন করার জন্য আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। পুলিসে হাবিলদারের চাকরি করে কি আর বিলাস বহুল জীবন কাটানো যায়! তাই সুযোগের সন্ধানে ছিলেন তাঁরা। একখানা সুযোগ আসতেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অসৎ উপায়ে হলেও সুযোগ ছাড়লেন না। উদ্ধার হল ১৭০ কেজি গাঁজা। তিন পুলিশ কর্মী কেস রেজিস্টার করলেন না। ডিপার্টমেন্টে জানানো হল, মাত্র ৯২০ গ্রাম গঞ্জ উদ্ধার হয়েছে। বাকি গাঁজা রাখা হল গুদামে লুকিয়ে। তারপর চোরা চালান কারীর কাছে সেই চোরাই গাঁজা বেচে লাখ টাকা কামাই হল তিন পুলিশ কর্মীর।
পুলিসের চাকরিতে উপরি উপার্জনের সুযোগ আছে। এমন অভিযোগ অনেকেই করেন। বহু ক্ষেত্রে সেটা প্রমাণিত। সোস্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল অনেক সময় পুলিসের সেইসব উপরি উপার্জনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। আগেও মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং অসৎ পুলিস কর্মীকে চিনিয়ে দিয়েছে অনেকবার। কিন্তু এভাবে একজন পুলিস কর্মীই যদি চোর বা চোরা চালানের কারীর মতো কাণ্ড করে বসেন তাহলে সামাজিক অবক্ষয় তো স্বাভাবিক।
দিল্লির জাহাঙ্গীর পুরি থানার ঘটনা। অনিল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে ১৭০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে তিন পুলিস কর্মী। কিন্তু বিভাগে জানায়, মাত্র ৯২০ গ্রাম গঞ্জ উদ্ধার হয়েছে। কিছুদিন পর তাই অনিল ছাড়া পেয়ে যায়। তার মধ্যেই তিন পুলিস কর্মী বাকি গাঁজা আরেকজনকে বিক্রি করে লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। কোনোভাবে পুলিস কর্তারা ঘটনার কথা জানতে পারেন। ওই তিন পুলিস কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। কার কাছে ওই তিন পুলিশকর্মী গাঁজা বিক্রি করেছেন তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেলেই তিন পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।