নিজস্ব প্রতিবেদন- গলায় ফাঁসের দাগ, শ্বাসরোধ করে খুন! হাথরসের নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে এই দুটি পয়েন্ট। কিন্তু চিকিত্সকরা কোথাও উল্লেখ করেননি, দলিত মেয়েটি ধর্ষণের শিকার। ময়না তদন্তের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্ময় ছড়াতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ের ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ চুপিসারে দাহ করেছে পুলিস। কার নির্দেশে এমনটা করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে ময়না তদন্তের এমন রিপোর্ট নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৪ দিন লড়াই করেও জীবনযুদ্ধে হেরে যান হাথরসের নির্যাতিতা। আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিল্লি সফদর জং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। পুলিসের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় ওই তরুণীকে। ধস্তাধস্তির সময় তাঁর জিভের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দুটি পা ও একটি হাতে কোনও সাড় ছিল না বলেও জানান চিকিত্সকরা। মৃত্যুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে ধর্ষকদের নামও বলে গিয়েছেন সেই তরুণী। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখই নেই। ইতিমধ্যে অবশ্য চার অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, চারজনই তথাকথিত উচ্চবর্ণের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ও ৩৭৬ডি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


আরও পড়ুন-  বেকার, বিয়ে হচ্ছে না, বাড়ছে ধর্ষণ! সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির অদ্ভুত যুক্তি


রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর মাঠে কাজ করার সময় নির্যাতিতাকে কেউ বা কারা পিছন থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে টেনে নিয়ে যায়। সকাল নটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেল চারটে নাগাদ আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল নির্যাতিতাকে। তাঁর গলায় ফাঁসের দাগ ছিল। এমনকী শিরদাঁড়ায় আঘাত ছিল। এমনকী শিরদাঁড়া, পায়ের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে কোনও জায়গায় ধর্ষণ ও অত্যাচারের কথা লেখা নেই। এমনকী যৌনাঙ্গে কোনো ক্ষতের উল্লেখ নেই। লেখা রয়েছে, ষৌনাঙ্গে রক্তের প্রমাণ মিলেছে। তবে সেটি ঋতুস্রাবের জন্য রক্তক্ষরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে FSL রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।