নিজস্ব প্রতিবেদন- একজন international criminal. আরেকজন শার্প শুটার। প্রথমজন কুখ্যাত ছোটা রাজন। পরেরজন মুন্না বজরঙ্গি। এবার এই দুজনের নামেই ডাকটিকিট প্রকাশ করে দিল ডাকবিভাগ। কানপুরের ডাকবিভাগ বলছে, বড় ভুল হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ভুল হল কী করে! কীভাবে দুজন কুখ্যাত অপরাধীর নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করে দিল ডাকবিভাগ! মাই স্টাম্প যোজনার আওতায় এই দুটি ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। কী করে এত বড় ভুল হল, তা নিয়ে এবার তদন্ত করবে খোদ ডাকবিভাগ। 

 

টিকিট জারি করার আগে ফটো বা সার্টিফিকেট, কোনওটাই চাওয়া হয়নি। দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ছিল এতটাই। মাই স্টাম্প যোজনার আওতায় থাকা এই ডাকটিকিটগুলির জন্য মোট ৬০০ টাকা জমা ছিল। ডাকবিভাগ ছোটা রাজন ও মুন্না বজরঙ্গির নামে ১২টি করে টিকিট ছাপিয়ে প্রকাশ করে দেয়। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয় পাঁচ টাকা। পোস্ট মাস্টার জেনারেল বিকে শর্মা বলেছেন, আমি সংবাদমাধ্যমের থেকেই প্রথম খবরটা পাই। এমন ভুল মেনে নেওয়া যায় না। আমি নিজে এই ঘটনার তদন্ত করে দেখব। এমন ভুল কে করেছে খুঁজে বের করা হবে।

 


 

৯ জুলাই ২০১৮ সালে মুন্না বজরঙ্গি বাগপত জেলে খুন হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে বালি দ্বীপ থেকে ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করে ভারতে আনা হয়েছিল। আপতত তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে তাকে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মাই স্টাম্প যোজনা শুরু হয়েছিল। ৩০০ টাকা দিয়ে যে কোনও ব্যক্তি নিজের ছবি দিয়ে ডাক টিকিট জারি করতে পারেন। অন্য ডাক টিকিটের মতোই মান্যতা দেওয়া হবে। যে ব্যক্তির নামে ডাকটিকিট জারি হবে তিনি জীবিত থাকা আবশ্যিক। এমনকী তাঁকে ডাকবিভাগে সশরীরে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আসতে হয়।