নিজস্ব প্রতিবেদন: সিদ্দারামাইয়া সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করা যাবে না। এই শর্তেই জেডিএসের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। শনিবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, ''আদর্শের ভিত্তিতে এই জোট হয়নি। কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত না করার শর্তেই জোট হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের জেলে পুরবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন কুমারস্বামী। এবার তিনি কী করবেন?''      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে না-পারায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন,''এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিল আরএসএস-বিজেপি।ওদের রুখে দিয়েছে কর্ণাটক।'' রাহুলের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রকাশ জাভড়েকর বলেন,''কর্ণাটকে কংগ্রেসকে হারিয়েছে বিজেপি। ৪০ থেকে ১০৮টি আসনে পৌঁছেছি আমরা। মাত্র ৭টি আসন দরকার ছিল। অন্যদিকে ১২২ আসন থেকে কংগ্রেসের আসন হয়েছে ৭৮। সিদ্দারামাইয়া একটা কেন্দ্রে হেরেছেন। আর একটা কেন্দ্রে মাত্র দেড় হাজার ভোটে জিতেছেন। হেরেছেন কংগ্রেসের ১৪ জন মন্ত্রী। তার পর রাহুল গান্ধীর মন্তব্য হাস্যকর। 




কংগ্রেস-জেডিএস সমঝোতাকে 'সুবিধাবাদী জোট' আখ্যা দিয়ে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ''নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকে বিষোদ্গার করেছিল দুই দল। তারাই এখন হাত মিলিয়েছে। দুর্নীতি ঢাকার চুক্তি হয়েছে দুই দলের। নির্বাচনী প্রচারে জেডিএসকে বিজেপির 'বি টিম' বলে প্রচারও করেছেন রাহুল গান্ধী। এবার দেখা গেল, জেডিএস আসলে কাদের 'বি টিম'।''   


বিজেপি গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে বিঁধতে গিয়ে জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেন প্রকাশ জাভড়েকর। তাঁর কথায়, জরুরির অবস্থার সময়ে সেন্সরশিপ এনেছিল কংগ্রেসই।


আরও পড়ুন- অনৈতিক কাজ করবেন না, সসম্মানে বিদায় নিন, ইয়েদ্দিকে নির্দেশ মোদী-শাহের