নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরিটিতে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারে জন্ম। রাজনীতি তাঁর রক্তে। বাবা কামাদাকিঙ্কর সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। এহেন পরিবারের সন্তান প্রণবকে রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার উঠতে-পড়তে হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন প্রণবই হবেন দেশের পরবর্তি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা তনয় অনভিজ্ঞ রাজীব গান্ধী। তার পর রাইসিনা হিলস পর্যন্ত যেতে তাঁকে অনেকগুলো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।


আরও পড়ুন-প্রয়াত ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়, ফিরে দেখা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পাঁচ দশক


ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে তাঁর পরিচিতি। জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্দিরার ছায়াসঙ্গী ছিলেন প্রণববাবু। ১৯৮২ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরার আগেই রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রণববাবুকে। পরে ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভার একাধিক দায়িত্ব সামাল দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই প্রণবকেই শেষপর্যন্ত বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। এনিয়ে সম্প্রতি তিনি বলেন, কংগ্রেসের একটি লবি তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার করে রাজীবের মন বিষিয়ে দেন।


রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ফের দলের পাশে দাঁড়ান প্রণব। তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি য়েয়ারম্যান করা হয়। শেষপর্যন্ত মন্ত্রিসভাতেও যোগ দিয়ে বিদেশমন্ত্রী হন।


১৯৮২ সাল। আরবিআইয়ের গভর্নর হিসেবে মনমোহন সিংয়ের নিয়োগপত্রে সাক্ষার করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর সেই মনমোহনের প্রধানমন্ত্রিত্বে ২০০৪ থেকে ২০১২ পর্যন্ত প্রণববাবু সামলেছেন প্রতিরক্ষা, অর্থ ও বিদেশের মতো দফতর। এভাবেই রাজনীতিতে কখনও কখনও গুরুত্ব কমে গেলেও হারিয়ে যাননি  প্রণব। দল ও সরকারের প্রয়োজনেই তাঁকে আনতে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে। কারণ তাঁর ক্রাইসিস ম্যানেজ করার ক্ষমতা।


আরও পড়ুন-সংখ্যালঘু ইন্দিরার ‘ব্যাকবোন’! ৩ সাংসদ নিয়েও ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ প্রণব


২০১২ সালে রাজনীতি ছাড়ার পরেও হারিয়ে যাননি প্রণব। প্রথম বঙ্গসন্তান হিসেবে রাষ্ট্রপতি হন তিনি। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরও তিনি খবর ছিলেন। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে।


এতকিছুর পরও কি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আক্ষেপ ছিল তাঁর? সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, '৭ রেস কোর্স কখনই আমার গন্তব্য ছিল না।'