ওয়েব ডেস্ক: বিহারে তির ছুড়েছেন। দেশজুড়ে পদ্ম ফুটিয়েছেন। এবার উত্তরপ্রদেশে হাতের জোর শক্ত করতে আসরে প্রশান্ত কিশোর। দুহাজার সতেরোর বিধানসভা ভোটে রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চান ভোট ময়দানের ওয়ান্ডারম্যান। হাতিয়ার খুঁজে পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অব্যর্থ সেই হাতিয়ারের নাম প্রশান্ত কিশোর। একসময় রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতার কাজ করতেন। দুহাজার এগারোয় দেশে ফেরার পর মোটা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাঁকে গুজরাটে ভোট প্রচারের মূল পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করে বিজেপি। বিপুল জয় মোদীর। তারপর দুহাজার চোদ্দর লোকসভা ভোটে পদ্মশিবিরের হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে টিম-প্রশান্ত।


প্রচারে চায়ে পে চর্চা, ঘর ঘর মোদী, আপ কি বার মোদী সরকার স্লোগান। তারপর ইতিহাস। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়ে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর ভাঙন ধরে মোদী-প্রশান্ত সম্পর্কে। বিহার ভোটে প্রশান্তর স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগান নীতীশ কুমার। প্রচারে সেই গান তো মুখে মুখে ঘোরে বিহারবাসীর। বিহারে ক্ষমতায় আসে মহাজোট। প্রশান্তর এই জোড়া সাফল্যকে কাজে লাগাতে তত্পর কংগ্রেস। আগামী বছর পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের ভোটে কংগ্রেসের প্রচার কৌশলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রশান্ত। হারানো মাটি ফিরে পেতে মাস্টারস্ট্রোক দিতে চলেছেন প্রশান্ত। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। দুজনেই যদি রাজি না হন, তাহলে কোনও ব্রাহ্মণ মুখ চাইছেন তিনি। দুহাজার চোদ্দর ভোটে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে বড় ভূমিকা নেন প্রশান্ত। দুহাজার উনিশে মোদীকে হটানোর যুদ্ধে কি কংগ্রেসের হাত ধরেই থাকবেন তিনি? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।