নিজস্ব প্রতিবেদন- সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তাঁর কথা গোটা দেশের মানুষ জেনে গিয়েছিলেন। একটা সময় নিজের পেট চালানোর জন্যই তাঁকে যথেষ্ট সংঘর্ষ করতে হয়েছিল। আর সেই তিনিই ৩০০টি অসহায় কুকুরের আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন। কবে, কীভাবে তিনি সেই অসহায় কুকুরদের মা হয়ে উঠলেন, সে কথা এখন অনেকেরই জানা। তবে দিল্লির সেই প্রতিমা দেবী এখন মহাসমস্যায়। দক্ষিণ দিল্লির পিভিআর অনুপম এলাকায় তিনি তিনশোটি অসহায় কুকুরকে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই তাঁর জীবন কাটে। কুকুরদের দেখাশোনায় কোনও খামতি রাখেননি তিনি। কিন্তু এখন মহাসঙ্কটের সময়। আর তাই প্রিয় সন্তানদের দুবেলা পেট ভরে খেতে দিতে পারছেন না প্রতিমা দেবী। ভুগছেন মনোকষ্টে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম থেকে দিল্লিতে চলে যান প্রতিমা দেবী। ১৯৮৪ সাল থেকে কুকুরদের আশ্রয় দিতে শুরু করেন। তারপর একবার তাঁর ঝুপড়িতে আগুন লেগে যায়। আরেকবার পুরসভার লোকজন তাঁর ঝুপড়ি ভেঙে দিয়ে যায়। এত সমস্যা সত্ত্বেও কখনো কুকুরদের নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দেননি তিনি। আসলে লকডাউনের আগে বহু মানুষ তাঁকে সাহায্য করতেন। ৩০০ কুকুরকে খাওয়াতে তাঁর প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার টাকা করে খরচ হয়। এতদিন পর্যন্ত বহু মানুষের আর্থিক অনুদানে সব কিছু দিব্যি চলছিল। অবলারা দুবেলা পেট ভরে খেতে পেত। কিন্তু এখন করোনার জন্য পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। আগে যাঁরা টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন তাঁরা এখন আর আসেন না। লকডাউন শুরু হওয়ার পর কয়েকজন ডিজিটাল পেমেন্ট করেছিলেন। তাতে কিছুদিন সব ঠিক ঠাকই চলছিল। কিন্তু লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ার পর থেকেই সমস্যার শুরু হয়। এখন ৩০০ কুকুরকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন প্রতিমা দেবী।


আরও পড়ুন-  ধন্যি মেয়ে! Wildlife Photography-তে ইতিহাস লিখলেন ভারতের ঐশ্বর্য


লকডাউন শুরু হওয়ার পর অনেকেই তাঁদের পোষা কুকুর পর্যন্ত ৬৭ বছর বয়সী প্রতিমা দেবীর কাছে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও প্রতিমা দেবী জানিয়েছেন, সেইসব কুকুরদের দেখাশোনা করতে তাঁর কোনো অসুবিধা নেই। কারণ তাদের তিনি সন্তানের মতোই মনে করেন। কিন্তু এতগুলি কুকুরকে দুবেলা খাওয়ানোর সামর্থ্য তাঁর নেই। কেউ আর্থিক অনুদান না দিলে তাঁর পক্ষে এত কুকুরকে একসঙ্গে রেখে খাবার জোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব। দিনরাত্রি চোখের জল ফেলছেন প্রতিমা দেবী। সন্তানদের আধপেটা খেতে দিতে কোন মায়ের ভাল লাগে!