নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘৃণ্য বা জঘন্য অপরাধ বললেও হয়তো কম বলা হবে। হরিয়াণার মেওয়াটে এমন কাণ্ড ঘটল যা শোনার পর আপনার রক্ত ফুটতে শুরু করতে পারে। আটজন মিলে এক গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণ করল। পাশবিক অত্যাচারের জেরে সেই গর্ভবতী ছাগল শেষ পর্যন্ত মারা যায়। এমন জঘন্য কাজ করা আটজন অপরাধীকে শেষমেশ গ্রামবাসীরা পাকরাও করে। মারের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মোদীর পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন রামদেব!


গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সেই গর্ভবতী ছাগলকে উত্যক্ত করত ওই আটজন। ছাগলের মালিক বহুবার তাদের বারণ করা সত্ত্বেও তারা কথা শোনেনি। দিন দিন সেই ছাগলকে বিরক্ত করার মাত্রা ছাড়াতে থাকে। ছাগলের মালিক আসলু এমন কিছু একটা কাণ্ড ঘটার আঁচ পেয়েছিলেন আগে থেকেই। কিন্তু শেষমেশ নিজের পোষ্যকে এই আট পাষণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না। গ্রামবাসীদের একজনের বয়ান অনুযায়ী, আসলুর বাড়ির দালান থেকে ওই ছাগলকে চুরি করে নিয়ে যায় আটজন। রাতের অন্ধকারে ছাগলটিকে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটজন মিলে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। তার পর তড়িঘড়ি পাঁচজন ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। কিন্তু বাকি তিনজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর জন্য বাড়ি ফিরে আসে। ইতিমধ্যে আসলু তাঁর পোষ্যকে খুঁজতে বের হয়। গর্ভবতী ছাগলটি যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে চিত্কার করতে থাকে। আসলু ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে ছাগলটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।


আরও পড়ুন-  ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব ঘর হবে: মোদী


স্থানীয় নাগিনা পুলিশ চৌকির এসআই রাজবীর সিং বলছিলেন, আসলু আমাদের কাছে এসে ওই আটজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। সাভাকর, হারুন, জাফর ও তাঁর বাকি পাঁচ সঙ্গীর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃত ছাগলটির মেডিক্যাল করা হবে। এদিকে, ছাগলটির মালিক আসলু বলছিলেন, ওরা কয়েকদিন ধরেই আমার গর্ভবতী ছাগলটিকে বিরক্ত করত। আমি বারণ করায় প্রথমে ওরা চলে যায়। তার পর আবার কিছুক্ষণ বাদে ফিরে আসে। আমি তখন কাছাকাছি ছিলাম না। সেই সুযোগে ওরা আমার ছাগল চুরি করে। রাতের অন্ধকারে ওকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে। পরে ওদের গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ও ৪২৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তা ছাড়া অবলা পশুর উপর নারকীয় নির্যাতনের জন্যও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে অবশ্য গ্রামের পঞ্চায়েতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি।